Montu Zaman
2025-12-08, 03:21 PM
http://forex-bangla.com/customavatars/228526490.jpg
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য বিবাদ সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন বাজারে সম্প্রসারিত হয়েছে চীনা রফতানি। এর মধ্যে বড় হিস্যাধারী অঞ্চল হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। বাণিজ্য তথ্য বিশ্লেষণ থেকে দেখা যাচ্ছে, বেইজিংয়ের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্যিক সংযোগ আরো দৃঢ় হচ্ছে। বর্তমানে এ অঞ্চলে চীনা রফতানি চার বছরের গড়ের প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া। সরকারি বাণিজ্য তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) আঞ্চলিক বৃহৎ অর্থনীতির এ দেশগুলোয় চীনা রফতানির সম্মিলিত আকার ছিল ৪০ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি, ওই সময় রফতানির আকার ছিল ৩৩ হাজার কোটি ডলার।
গত পাঁচ বছরে চীনের সঙ্গে ছয় দেশের রফতানি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আর চীনের সঙ্গে অঞ্চলটির বাণিজ্য ঘাটতি চলতি বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধির হার গত চার বছরের সমন্বিত ১৩ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণ।
অভিযোগ রয়েছে, দেশটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে সস্তা পণ্য ‘ডাম্পিং’ করছে চীন। অতিরিক্ত সরবরাহ স্থানীয় উৎপাদকদের অন্যায্যভাবে দাম কমানোর চাপে ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়াভিত্ত ক গবেষণা সংস্থা লোয়ি ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ রোল্যান্ড রাজাহ বলেন, ‘গত কয়েক বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে চীনা পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহ দেখা যাচ্ছে। চলতি বছর মার্কিন উচ্চ শুল্কের কারণে তা আরো বাড়ানো হয়েছে।’
বাণিজ্য বিবাদের এক পর্যায়ে চীনে তৈরি পণ্যের ওপর প্রায় ৪৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাম্প্রতিক রফতানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে মার্কিন শুল্ক এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। কারণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে মার্কিন শুল্ক মাত্র ১৯ শতাংশ।
শুল্ক আরোপের শুরু থেকেই তৃতীয় কোনো দেশ ব্যবহার করে চীন থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট বিষয়ে সতর্ক যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলেছে, চীনা পণ্যের উৎসস্থল লুকিয়ে অন্য দেশগুলো দিয়ে রফতানি করলে ট্রান্সশিপমেন্ট শুল্ক হতে পারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
রোল্যান্ড রাজাহর এখনো প্রকাশ না হওয়া এক গবেষণাপত্র অনুসারে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এ তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, অঞ্চলটির আমদানিতে বেশ পরিবর্তন ঘটেছে।
এ অর্থনীতিবিদের মতে, চীনের রফতানি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে অন্যান্য দেশের রফতানিকারীদের জন্য প্রতিযোগিতা বাড়াচ্ছে। তবুও চীনের যেসব পণ্য রফতানি হচ্ছে এর বেশির ভাগই আঞ্চলিক অর্থনীতির জন্য উপকারী। বিশেষ করে অনেক দেশ চীন থেকে পণ্য তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করে এবং পরে অন্য বাজারে রফতানি হয়। যা দেশগুলোর উৎপাদন ও ব্যবসা বৃদ্ধিকে সহায়তা করছে।
গবেষণাপত্র অনুসারে, চলতি বছরে চীনা রফতানির প্রায় ৬০ শতাংশ অংশ ছিল এমন সব পণ্যের উপকরণ, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে তৈরি হয়ে অন্য বাজারে গেছে।
ভোক্তা পণ্যের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে চীন। এতে বাজারে অন্যান্য দেশ থেকে আসা পণ্যের হিস্যা কমে গেছে।
ডরিস লিউ একসময় মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘চীনের বাড়তি সরবরাহ বিশেষ করে সস্তা ভোক্তা পণ্যের জন্য নতুন বাজার প্রয়োজন। ভৌগোলিক নৈকট্য, লজিস্টিকস ও ব্যবসার আকারের কারণে দেশটির জন্য সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক বিকল্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।’
চীনের গাড়ি শিল্পের জন্য বর্ধিত বাজারের প্রয়োজনীয়তা সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনেকদিন ধরে প্রধান বাহন হলো টয়োটা, হোন্ডা ও নিশানের মতো জাপানি মডেল। কিন্তু বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির সাম্প্রতিক প্রবণতায় এ অঞ্চলে সাশ্রয়ী বিকল্প হয়ে উঠেছে চীনের বিওয়াইডি।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি বড় বাজারে জাপানের গাড়ি নির্মাতাদের হিস্যা ৭৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৬২ শতাংশ। আগে চীনের গাড়ি বিক্রির সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রায় শূন্য বা নগণ্য ছিল। কিন্তু এখন বার্ষিক ৩৩ লাখ গাড়ি বিক্রির বাজারে চীনের হিস্যা ৫ শতাংশের বেশি।
অবশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ চীনা আমদানি বিষয়ে সতর্ক হয়ে উঠেছে। স্থানীয় উৎপাদকদের সস্তা চীনা পণ্য থেকে রক্ষা করতে আমদানি নীতি কড়াকড়ি করেছে দেশগুলো। কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বিবেচনা করেছে।
ডরিস লিউর মতে, এ পদক্ষেপগুলো আংশিক ও সাময়িক। তিনি বলেন, ‘মূল বিষয় হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উৎপাদকদের উন্নতি করতে হবে। তা না হলে চাপে পড়ে যাবে তারা। কারণ চীনের শিল্প ব্যবস্থা অনেক বেশি উদ্ভাবনী সক্ষমতাসম্পন্ন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য বিবাদ সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন বাজারে সম্প্রসারিত হয়েছে চীনা রফতানি। এর মধ্যে বড় হিস্যাধারী অঞ্চল হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। বাণিজ্য তথ্য বিশ্লেষণ থেকে দেখা যাচ্ছে, বেইজিংয়ের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্যিক সংযোগ আরো দৃঢ় হচ্ছে। বর্তমানে এ অঞ্চলে চীনা রফতানি চার বছরের গড়ের প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া। সরকারি বাণিজ্য তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) আঞ্চলিক বৃহৎ অর্থনীতির এ দেশগুলোয় চীনা রফতানির সম্মিলিত আকার ছিল ৪০ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি, ওই সময় রফতানির আকার ছিল ৩৩ হাজার কোটি ডলার।
গত পাঁচ বছরে চীনের সঙ্গে ছয় দেশের রফতানি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আর চীনের সঙ্গে অঞ্চলটির বাণিজ্য ঘাটতি চলতি বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধির হার গত চার বছরের সমন্বিত ১৩ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণ।
অভিযোগ রয়েছে, দেশটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে সস্তা পণ্য ‘ডাম্পিং’ করছে চীন। অতিরিক্ত সরবরাহ স্থানীয় উৎপাদকদের অন্যায্যভাবে দাম কমানোর চাপে ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়াভিত্ত ক গবেষণা সংস্থা লোয়ি ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ রোল্যান্ড রাজাহ বলেন, ‘গত কয়েক বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে চীনা পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহ দেখা যাচ্ছে। চলতি বছর মার্কিন উচ্চ শুল্কের কারণে তা আরো বাড়ানো হয়েছে।’
বাণিজ্য বিবাদের এক পর্যায়ে চীনে তৈরি পণ্যের ওপর প্রায় ৪৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাম্প্রতিক রফতানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে মার্কিন শুল্ক এড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। কারণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে মার্কিন শুল্ক মাত্র ১৯ শতাংশ।
শুল্ক আরোপের শুরু থেকেই তৃতীয় কোনো দেশ ব্যবহার করে চীন থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট বিষয়ে সতর্ক যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলেছে, চীনা পণ্যের উৎসস্থল লুকিয়ে অন্য দেশগুলো দিয়ে রফতানি করলে ট্রান্সশিপমেন্ট শুল্ক হতে পারে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
রোল্যান্ড রাজাহর এখনো প্রকাশ না হওয়া এক গবেষণাপত্র অনুসারে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের রফতানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এ তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, অঞ্চলটির আমদানিতে বেশ পরিবর্তন ঘটেছে।
এ অর্থনীতিবিদের মতে, চীনের রফতানি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে অন্যান্য দেশের রফতানিকারীদের জন্য প্রতিযোগিতা বাড়াচ্ছে। তবুও চীনের যেসব পণ্য রফতানি হচ্ছে এর বেশির ভাগই আঞ্চলিক অর্থনীতির জন্য উপকারী। বিশেষ করে অনেক দেশ চীন থেকে পণ্য তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করে এবং পরে অন্য বাজারে রফতানি হয়। যা দেশগুলোর উৎপাদন ও ব্যবসা বৃদ্ধিকে সহায়তা করছে।
গবেষণাপত্র অনুসারে, চলতি বছরে চীনা রফতানির প্রায় ৬০ শতাংশ অংশ ছিল এমন সব পণ্যের উপকরণ, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে তৈরি হয়ে অন্য বাজারে গেছে।
ভোক্তা পণ্যের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে চীন। এতে বাজারে অন্যান্য দেশ থেকে আসা পণ্যের হিস্যা কমে গেছে।
ডরিস লিউ একসময় মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘চীনের বাড়তি সরবরাহ বিশেষ করে সস্তা ভোক্তা পণ্যের জন্য নতুন বাজার প্রয়োজন। ভৌগোলিক নৈকট্য, লজিস্টিকস ও ব্যবসার আকারের কারণে দেশটির জন্য সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক বিকল্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।’
চীনের গাড়ি শিল্পের জন্য বর্ধিত বাজারের প্রয়োজনীয়তা সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনেকদিন ধরে প্রধান বাহন হলো টয়োটা, হোন্ডা ও নিশানের মতো জাপানি মডেল। কিন্তু বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির সাম্প্রতিক প্রবণতায় এ অঞ্চলে সাশ্রয়ী বিকল্প হয়ে উঠেছে চীনের বিওয়াইডি।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি বড় বাজারে জাপানের গাড়ি নির্মাতাদের হিস্যা ৭৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৬২ শতাংশ। আগে চীনের গাড়ি বিক্রির সংখ্যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রায় শূন্য বা নগণ্য ছিল। কিন্তু এখন বার্ষিক ৩৩ লাখ গাড়ি বিক্রির বাজারে চীনের হিস্যা ৫ শতাংশের বেশি।
অবশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ চীনা আমদানি বিষয়ে সতর্ক হয়ে উঠেছে। স্থানীয় উৎপাদকদের সস্তা চীনা পণ্য থেকে রক্ষা করতে আমদানি নীতি কড়াকড়ি করেছে দেশগুলো। কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বিবেচনা করেছে।
ডরিস লিউর মতে, এ পদক্ষেপগুলো আংশিক ও সাময়িক। তিনি বলেন, ‘মূল বিষয় হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উৎপাদকদের উন্নতি করতে হবে। তা না হলে চাপে পড়ে যাবে তারা। কারণ চীনের শিল্প ব্যবস্থা অনেক বেশি উদ্ভাবনী সক্ষমতাসম্পন্ন।’