২০২০ সালের প্রথমার্ধে জাপানের রফতানি ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। গত এক দশকের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটির রফতানিতে এটা সর্বোচ্চ পতন। নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর ফলে গাড়ি ও অন্যান্য শিল্পপণ্যের বৈশ্বিক চাহিদায় পতনের ফলে রফতানিতে যে প্রভাব পড়েছে, সোমবার প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে তা উঠে এসেছে। খবর কিয়োদো।

অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে রফতানি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াবে। বিভিন্ন দেশে কভিড-১৯ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে এবং অনেক দেশ বড় অংকের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করায় রফতানিনির্ভর জাপানের অর্থনীতির চাকা ঘুরবে।

প্রাথমিক এক প্রতিবেদনে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে জাপানের রফতানি কমে ৩২ দশমিক ৩৬ ট্রিলিয়ন ইয়েনে বা ৩০ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের জেরে ২০০৯ সালের দ্বিতীয়ার্ধে রফতানিতে ২২ দশমিক ৮ শতাংশ পতনের পর এটা সর্বোচ্চ পতন।

গাড়ি খাতে রফতানিতে সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক ৯ শতাংশ পতন হয়েছে। এর আগে এ খাতে সর্বোচ্চ পতন হয়েছিল ২০০৯ সালের দ্বিতীয়ার্ধে, যখন ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ পতন হয়েছিল। গাড়ির যন্ত্রাংশ রফতানি ২৯ শতাংশ কমেছে।

গত ছয় মাসে জাপানের পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ২ দশমিক ২৪ ট্রিলিয়ন ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে এ খাতে সর্বোচ্চ ঘাটতি হয়েছিল ২০১৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে, যখন ৫ দশমিক ১৯ ট্রিলিয়ন ইয়েন পণ্য বাণিজ্য ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছিল জাপান। এ নিয়ে টানা চারটি অর্ধবর্ষে এ খাতে ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটি।

গত ছয় মাসে জাপানের রফতানি গত বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৩৪ দশমিক ৬০ ট্রিলিয়ন ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধের ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ পতনের পর এটি সর্বোচ্চ পতন। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে প্রায় এক মাস দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা কার্যকরের ফলে আমদানিতে এ প্রভাব পড়েছে। দেশটির আমদানি ও রফতানি টানা ছয় অর্ধবার্ষিকে কমেছে।

নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করব।

বণিক বার্তা