ব্রেকআউট কি ও এতে লসের সম্ভাবনা কি?

ব্রেক আউট হচ্ছে প্রাইস যখন রেঞ্জ লেভেল ক্রস করে বাইরে চলে যায়, এবং নতুন সাপোর্ট বা রেসিস্টেন্স লেভেল তৈরি করে। মার্কেট যখন রেঞ্জিং মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসে, তখন সাধারণত ব্রেকআউট হয়ে থাকে। যখন সাপোর্ট ব্রেক করে তখন তা পরবর্তী সেটআপের জন্য রেসিস্টেন্স হিসেবে কাজ করে, অনুরূপ রেসিস্টেন্স ব্রেক করলে তা পরবর্তী সেটআপের জন্য সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে। ব্রেক আউটে ট্রেড করার জন্য আগে শিউর হয়ে নেওয়া উচিত। অনেক সময় মার্কেটে ফলস ব্রেক আউট দেখা যায় যা দেখে ট্রেড এন্ট্রি নিলে লস হবার সম্ভাবনা থাকে।

মার্কেটে কোনো পেয়ারের price যখন কোনো রেজিস্ট্যান্স বা সাপোর্ট লেভেলকে একটি full body কেন্ডেল তৈরি করে পরিস্কার ব্রেকআউট করবে তখনই তাকে আমরা নিশ্চিত breakout বলবো৷কারন অনেক সময় দেখা যায় Breakout এর পরিবর্তে Fakeout তৈরি হয়েছে৷আমাদের মাঝে অনেক নতুন এবং অনভিজ্ঞ ট্রেডার রয়েছেন যারা ব্রেকআউটের সুযোগকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে রেসিসট্যান্স লেভেলগুলোতে Buy এন্ট্রি করে বসেন আবার সাপোর্ট লেভেল গুলোতে Sell এন্ট্রী করে বসেন৷অথচ একটু পরেই দেখা যায় আসলে তা breakout না হয়ে fakeout হয়েছে৷ ফলে ভূল এন্ট্রীর কারনে প্রফিটের পরিবর্তে প্রচুর লস চলে আসে৷এজন্যই প্রথমে breakout নিশ্চিত হতে হবে৷মাথা ঠান্ডা রেখে ধীরে সুস্হ্যে বুঝে নিবেন ব্রেকআউট হয়েছে কি না৷

প্রাইজ একশনে ব্রেক আউট জটিল বিষয় কারণ কখনও ব্রেকআউট হয় ঠিকই সেইটা আবার কিছুদুর গিয়ে আবার ফলস ব্রেক আউট হয়ে থাকে। সাধারনত ব্রেক আউট এর সময় নিউজ বের হয়। দীর্ঘ দিন প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে ব্রেক আউট আইডেন্টিফাই করাা উচিত। সঠিক ব্রেক আউট চিনতে না পারলে লস হবার সম্ভাবনা থাকে। আর যদি মার্কেট ঘুরে যায় তারও কিছু সিম্পটম থাকবে এগুলো লক্ষ্য করার বিষয়। দীর্ঘদিন প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে একজন প্রাইজ একশন ট্রেডার অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন।

মার্কেট যখন রেঞ্জ মোডে চলে তখন প্রাইচ সেই লেভেলটা ব্রেক হওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে। তারপর একটা সময় মার্কেট এ রেন্জ বাউন্ড ব্রেক করে মার্কেট ও্পরে বা নিচে চলে যায়। সুতরাং ব্রেক হওয়ার জন্য আপনাকে মার্কেট কনফারমেশন এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

আমার এখনো অনেক শিখতে বাকি যা ফরমের পোস্টগুলি পড়ে পড়ে বুঝতে পারে। কারণ কি ভাই যে টপিকটি সম্পর্কে কথা বলেছে এ সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিল না। কিন্তু এখন এই পোস্টটি পড়ে আমার এ সম্পর্কে অনেক ক্লিয়ার একটি ধারণা এসেছে।

ব্রেক আউট হলে লসের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে অনেক সময় এতটাই ব্রেক আউট হয় যে আর পুরো ইনভেস্টমেন্ট চলে যেতে হবে তাই সবসময়ই ব্রেক আউট গুলো নজর রাখা উচিত ১০০% আপনার লস হতে পারে ব্যাক আউট হওয়ার কারণে একটি রেসিডেন্ট লাইন যখন ক্রস করে অন্য লাইনে চলে যায় তখন তাকে ব্রেক আউট বলা হয় এবং পরবর্তী ব্রেক আউট পরবর্তী রেসিস্টেন্স তৈরি করার আগ পর্যন্ত ওইটা উঠানামা করতে পারে।

ব্রেকআউট হলো একটি ট্রেডিং কৌশল যেখানে একটি নির্দিষ্ট প্রাইস লেভেল, যেমন সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স, ভাঙলে সেটিকে ব্রেকআউট বলে। এটি সাধারণত বাজারের মূল্য বড় ধরনের পরিবর্তন বা নতুন ট্রেন্ডের সূচনাকে নির্দেশ করে। যখন একটি ব্রেকআউট ঘটে, তখন অনেক ট্রেডার নতুন ট্রেন্ডে যোগ দিতে আগ্রহী হয়।

তবে এতে লসের সম্ভাবনাও থাকে। ভুয়া ব্রেকআউট বা "ফলস ব্রেকআউট" হলে প্রাইস সামান্য ওপরে বা নিচে ভেঙে পুনরায় আগের লেভেলে ফিরে আসে। এ ধরনের ক্ষেত্রে ট্রেডাররা ভুল সংকেতে ট্রেড করতে গিয়ে লসের সম্মুখীন হতে পারে। তাই, ব্রেকআউটের সময় সঠিক সংকেত যাচাই এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেকআউটের কৌশলে, ট্রেডাররা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জ বা প্রাইস প্যাটার্নে প্রাইস আটকে থাকার পর সেই লেভেল ভাঙার অপেক্ষায় থাকে। একবার প্রাইস সেই সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স লেভেল ভাঙলে, মনে করা হয় যে প্রাইস একটি নতুন দিক বা ট্রেন্ডে চলবে।

তবে লসের সম্ভাবনা মূলত ভুয়া বা ফলস ব্রেকআউটের কারণে হয়। অনেক সময় বাজারে প্রাইস মুভমেন্ট এমন হয় যেখানে মনে হয় ব্রেকআউট হচ্ছে, কিন্তু পরবর্তীতে সেটি আবার আগের রেঞ্জে ফিরে আসে। এই অবস্থায়, যদি ট্রেডার আগেই ট্রেডে প্রবেশ করে, তবে তারা লস করতে পারে। এজন্য প্রাইস অ্যাকশন, ভলিউম বিশ্লেষণ এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ব্রেকআউট যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেকআউট কৌশলে সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট খুঁজে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় প্রাইস নির্দিষ্ট লেভেলে কয়েকবার ব্রেকআউটের চেষ্টা করে এবং এই পরিস্থিতিকে "কনসোলিডেশন" বলা হয়। যখন কনসোলিডেশন পর্বের পর ব্রেকআউট ঘটে, তখন সেটি একটি শক্তিশালী মুভমেন্ট নির্দেশ করতে পারে। তবে, শুধু একটি ব্রেকআউট হলেই সেটিকে বৈধ মনে করা ঠিক নয়। সাধারণত ভলিউম বৃদ্ধি, মার্কেট নিউজ বা ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলো ব্রেকআউটের বৈধতা নির্ধারণে সাহায্য করে।

লস এড়ানোর জন্য, প্রাইস মুভমেন্ট ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে হয়। স্টপ লস ব্যবহার এবং রিস্ক-টু-রিওয়ার্ড রেশিও মেনে চলা ব্রেকআউট কৌশলে লস কমাতে সাহায্য করে। তদ্ব্যতীত, প্রাইসের স্থায়িত্ব পর্যবেক্ষণ করে শুধুমাত্র নিশ্চিত ব্রেকআউটে ট্রেড করা একটি বুদ্ধিমান কৌশল।

ব্রেকআউট ট্রেডিং কৌশলে সফল হতে চাইলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা দরকার। ব্রেকআউটের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য ভলিউম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন কোনো ব্রেকআউট ঘটে এবং তা শক্তিশালী ভলিউমের সাথে হয়, তখন সেটিকে সাধারণত একটি বৈধ ব্রেকআউট হিসেবে ধরা হয়। তবে, যদি ভলিউম কম হয়, তবে এটি ভুয়া ব্রেকআউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আরো একটি কৌশল হলো, কনফার্মেশন ক্যান্ডেল ব্যবহার করা। ব্রেকআউট লেভেলের উপরে বা নিচে একটি ক্যান্ডেল ক্লোজ হওয়ার পর ট্রেডে প্রবেশ করলে লসের ঝুঁকি কিছুটা কমে। ট্রেডাররা কখনোই ব্রেকআউট দেখামাত্রই তড়িঘড়ি ট্রেডে প্রবেশ করা উচিত নয়; পরিবর্তে, মার্কেটের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ও ধৈর্য ধরে একটি নিশ্চিত সংকেতের জন্য অপেক্ষা করাই উত্তম।