ডয়েচে ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে অধিকতর তদন্তে মার্কিন প্রশাসন
২২ হাজার কোটি ডলার ডান্সক ব্যাংক মানি লন্ডারিং কেলেঙ্কারিতে জার্মানির ডয়েচে ব্যাংকের ভূমিকা কী ছিল, তা জানতে অধিকতর তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তি এ তথ্য রয়টার্সকে জানিয়েছেন। ওই সূত্রগুলো দাবি করেছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় এ-সংক্রান্ত তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি। খবর রয়টার্স।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ডেনমার্কের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডান্সক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারে ডয়েচে ব্যাংক সাহায্য করেছে কিনা, তা জানতে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস (ডিওজে)। সংশ্লিষ্টতা পেলে ডয়েচে ব্যাংককে বড় ধরনের জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে।
সূত্রগুলো দাবি করেছে, বিষয়টি নিয়ে এস্তোনিয়ার প্রসিকিউটরদের সঙ্গে ডিওজের যেসব কর্মকর্তা প্রায় এক বছর ধরে কাজ করছেন, তারা এবার ফ্রাংকফুর্টের স্টেট প্রসিকিউটরদের সঙ্গেও কাজ শুরু করেছেন। ডান্সক ব্যাংকের জন্য পেমেন্ট প্রক্রিয়ায় ডয়েচের কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন ফ্রাংকফুর্টের প্রসিকিউটররা।
জার্মানির সর্ববৃহৎ ব্যাংক ডয়েচের বিষয়ে খোঁজখবর কিংবা এ নিয়ে ফ্রাংকফুর্টের প্রসিকিউটরদের সঙ্গে ডিওজের কর্মকর্তাদের কাজ করার বিষয়টি আগে জানা যায়নি।
ডান্সক ব্যাংকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এস্তোনিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন তারা।
তবে মার্কিন তদন্ত নিয়ে ডিওজে ও ফ্রাংকফুর্টের স্টেট প্রসিকিউটররা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। দুটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী বছর এই তদন্ত শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ডয়েচে ব্যাংকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তারা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য হারে উন্নত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, আমরা সব কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছি।
গত বছর ডান্সক ব্যাংক স্বীকার করে যে রাশিয়া ও অন্যান্য স্থান থেকে এস্তোনিয়ায় তাদের শাখার মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি ইউরোর সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এরপর বিশ্বজুড়ে অনুসন্ধান চলছে। এর আগে বিভিন্ন সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছিল যে এসব লেনদেনের বেশির ভাগের প্রক্রিয়া করেছে ডয়েচে ব্যাংক।
বণিক বার্তা