মুদ্রাস্ফীতি বলতে কি বোঝায়??
সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি বলতে এমন একটি অবস্থা বোঝায় যখন দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক রূপে বেড়ে যায় এবং অর্থের মূল্য ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে। মূলত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি হল মুদ্রাস্ফীতি অর্থাৎ কোন দেশে মোট অর্থের যোগান তার চাহিদার তুলনায় বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়।
যখন দেশে দ্রব্যসামগ্রীর যোগানে তুলনায় চাহিদা বেড়ে যায় এবং জনগণ বেশি টাকা দিয়ে কম পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী কিনতে বাধ্য হয় তখন সেই অবস্থাকে বলে মুদ্রাস্ফীতি। তবে মুদ্রাস্ফীতি কোনো এক বা দুটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি কে বোঝায় না বরং সামগ্রিক অর্থনীতির সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি কে বোঝায়। মুদ্রাস্ফীতি একটি ভারসাম্যহীন অবস্থা। এটি অর্থনীতির একটি সামগ্রিক কাঠামো।এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতির মোট চাহিদা তার উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার যোগান থেকে বেশি হওয়ার কারণে দামের পরিমাণ ক্রমেই বাড়তে থাকে।
মুদ্রাস্ফীতির সাধারন কারনগুলো হলো:
১/ মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো অর্থের যোগান বৃদ্ধি।
২/ সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধি পেলে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে।
৩/ বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক সহজ শর্তে অধিক ঋন দান।
৪/ উৎপাদন হ্রাস আর একটি উল্লেখযোগ্য কারণ।
৫/ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি।
৬/ বেতন কাঠামো পরিবর্তন ও মুদ্রাস্ফীতি ঘটায়।
৭/ এছাড়াও সরকারের ঘাটতি ব্যয় নির্বাহ, মজুরি বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কর হ্রাস এগুলোও মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম কিছু কারণ।