-
1 Attachment(s)
রোবটিক্স কী ?
[ATTACH=CONFIG]12744[/ATTACH]
‘রোবটিক্স’(Robotics) শব্দটি অনেকের কাছে আগ্রহের বিষয় । এমন অজানা আর আগ্রহের একটি বিষয় হচ্ছে এই রোবটিক্স বা রোবট নামক যন্ত্রের বিজ্ঞান । রোবটিক্স শব্দটি ‘রোবট’(Robot) এবং ‘ইক্স’(ics) ।এই ‘ইক্স’ শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত । যেমন-ইলেক্ট্রনিক্স,ইলে ্ট্রিক্যাল,মেকান ক্স ইত্যাদি । সহজ ভাবে বলতে গেলে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ডিজাইন ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিজ্ঞাইন হলো রোবটিক্স। সোজা কথায় বললে রোবটিক্স হলো । রোবটিক্স হচ্ছে এই একাবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা । রোবটিক্স নিয়ে জানতে হলে আমাদের আগে জানতে হবে রোবট নিয়ে । কারণ রোবটিক্স শাখার কর্ণধারই হচ্ছে এই রোবট ।
রোবট একটি যন্ত্রের । যকে কোন কাজ বা উদ্দেশ্যে প্রোগ্রাম করলে সে কাজটিকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে । রোবোট (Robot) শব্দটার উৎপত্তি “Robota” মতান্তরে “roboti” শব্দ থেকে।রোবটিক্স শব্দটি ভেঙ্গে পড়লে পাওয়া যায় ‘রোবট’(Robot) আর ইক্স শব্দটার প্রবক্তা ছিলেন ক্যারেল ক্যাপেক, যিনি বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে সাইন্স ফিকশন লেখার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। রোবট শব্দটির উৎপত্তি চেক শব্দ ‘রোবোটা’ থেকে, যার অর্থ ফোরসড লেবার বা মানুষের দাসত্ব কিংবা একঘেয়েমি খাটুনি বা পরিশ্রম করতে পারে এমন যন্ত্র।
রোবট হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা, যা মানুষ যেভাবে কাজ করে ঠিক সেই ভাবেই কাজ করতে পারে অথবা এর কাজের ধরণ দেখে মনে হবে এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে। রোবটের বহুমাত্রিক সংজ্ঞা দেয়া সম্ভব। সহজ ভাষায় বলা যায়, যে যন্ত্র নিজে নিজে মানুষের কাজে সাহায্য করে এবং নানাবিধ কাজে মানুষের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাই রোবট।
রোবটের ধর্ম :
০১-প্রাকৃতিক নয়, কৃত্রিম
০২- পরিবেশ অনুভব করার ক্ষমতা আছে।
০৩- পরিবেশের বস্তু নিয়ে কাজ করতে পারে।
০৪- কিছুটা বুদ্ধিমত্তা আছে, যার সাহায্যে পরিবেশ বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
০৫- কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রোগ্রামযোগ্য।
০৬- ঘুরতে পারে ও স্থানান্তর করতে পারে।
০৭- দক্ষভাবে সুনিয়ন্ত্রিত চলন প্রদর্শন করতে পারে।
০৮- স্বেচ্ছায় কাজ করছে, এরকম আভাস দিতে পারে।
রোবট এর প্রকারভেদ :
01-Pre-Programmed Robots.
02- Autonomous Robots.
03- Teleoperated Robots.
04- Augmenting Robots.
-
রোবটিক্স হলো প্রযুক্তির একটি শাখা যেটি রোবট সমূহের ডিজাইন, নির্মাণ, কার্যক্রম ও প্রয়োগ নিয়ে কাজ করে। New Collegiate ডিকশনারীর মতে “রোবট হচ্ছে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা যা মানুষ যেভাবে কাজ করতে পারে সেভাবে কাজ করে অথবা এর কাজ দেখে মনে হয় এর বুদ্ধিমত্তা আছে। সর্বপ্রথম ডিজিটাল ও প্রোগ্রামেবল রোবট আবিষ্কার করেন জর্জ ডেবল, এজন্য তাকে রোবটিক্সের জনক বলা হয়।টেকনোলজির যে শাখায় রোবটের নকশা গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রোবোটিক্স বলে।
রোবট কি::
রোবট (Robot) শব্দটার উৎপত্তি “Robota” মতান্তরে “roboti” শব্দ থেকে। শব্দটার প্রবক্তা ছিলেন ক্যারেল ক্যাপেক, যিনি বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে সাইন্স ফিকশন লেখার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ‘Robota’ শব্দটার মানে হল দাস (slave) বা কর্মী (worker)।
বর্তমানে Robot শব্দটি মোটামুটি একই অর্থ বহন করে। খুব সাধারন ভাবে বললে যে যন্ত্র/স্ট্রাকচার কোন নির্দিষ্ট টাস্ক (কাজ) করতে সক্ষম তাকে রোবট বলে। “টাস্ক”টা মানুষের মত হাটাহাটি বা সামগ্রিক মানুষের আদলে কাজকর্ম (আসিমো, ASIMO- Advanced Step in Innovative Mobility, HuBo) ছাড়াও খুব সামান্য কিছু ও হতে পারে। যেমন একটা অটোম্যাটিক ডোর, যা মানুষ বা কিছু সেন্স করে নিজে নিজে ওপেন হতে পারে, তাকেও রোবোট বলা হলে খুব ভুল বলা হবেনা, তবে এগুলো কে সাধারনত রোবোট না বলে “intelligent system” বলা হয়। কিন্তু কোন স্ট্রাকচারের মোবিলিটি (mobility)/ মোশন (Motion) , সেন্সিং (sensing ability) আর ইন্টেলিজেন্স (inteligence) থাকলে তাকে রোবোট বলা যায়। একটা খুবই সাধারন চার চাকার গাড়ি, যদি চালক ছাড়া চলতে পারে (নিজেই প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে (able to avoid obstacle )), সেও রোবোট (বড় পরিসরে এগুলোকে বলে Unmanned (air/ground)vehicle-> UGV,UAV )। রোবোট হতে পারে পুরোপুরি অটোনোমাস (স্বয়ংক্রিয়), সেমি-অটোনোমাস(আধা-স্বয়ংক্রিয়), রি-প্রোগ্রামেবল অথবা হিউম্যান কন্ট্রোলড।
সরাসরি সংগা দিতে গেলে এরকম দাঁড়ায়, যে ইলেট্রো-মেকানিক্যাল স্ট্রাকচার কোন কাজ করতে সক্ষম, সেই রোবোট। ইন্টিলিজেন্ট রোবোটে বিভিন্ন সেন্সর থাকে। বুদ্ধীমত্তার জন্য এর থাকে একটি সি পি ইউ (CPU)। আর থাকে একচুয়েটর (actuator)। ফিল্ড রোবোটে একচুয়েটর হল মোটর। চাহিদা ও কাজের ধরন অনুযায়ী সেন্সর নির্দিষ্ট করা হয়। সে অনুযায়ী প্রোগ্রাম লেখা হয়, সার্কিট ডিজাইন করা হয়। মটরের টর্ক থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু তৈরির আগে সিমুলেশন করে ঠিক করা হয় এবং ডিজাইন অনুযায়ী বানানো হয়।
রোবটিক্স মূলত রোবট কন্ট্রোল ও ডিজাইন নিয়ে কাজ করে। এটাকে ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার, মেকাট্রনিক্স এর সংমিশ্রন বলা যায়। তবে শুরুর জিনিস গুলো বুঝতে খুব সাধারন আগ্রহ থাকাই যথেষ্ট।
চিত্রঃ হোন্ডার তৈরি আ্যসিমো রোবট।
রোবটিক্স এ রিসার্চ ট্রেন্ড গুলো একেক ফিল্ডে একেক রকম। যেমন মোবাইল রোবটে পাথ প্ল্যানিং এ বেশি কাজ হচ্ছে, ইন্ড্রাস্ট্রিয়া রোবটে মূল ফোকাস efficiency বাড়ানোর এবং খরচ কমানোর দিকে, তাই কন্ট্রোল/ট্র্যাকিং এ বেশি কাজ হচ্ছে । স্পেস ও হিউম্যানয়েড রোবটের ডিজাইন/ব্যালেন্সিং/মিনিমাম এনার্জি নিয়ে বেশি কাজ হয়। UGV/UAV তে ট্র্যাকিং/ সেন্সর নিয়ে বেশি কাজ হয়। মেডিক্যাল রোবট ও বেশ এগিয়ে গেছে। দূর্ঘটনায় হারানো হাত পা এখন প্রতিস্থাপিত হচ্ছে আর্টিফিসিয়াল আর্ম বা লেগ দিয়ে। এখন সার্জারিও রোবট দিয়ে হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন কীট পতঙ্গের অনুকরনে রোবটের স্ট্রাকচারের সুবিধা/ স্ট্যাবিলিটি এনালাইসিস হয়, পরবর্তীতে ক্ষেত্র অনুযায়ী আইডিয়া গুলো ব্যবহার করা হয়। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সেন্সর ডেভেলপ করা হচ্ছে। এছাড়া ও বিভিন্ন কীটপতংগের নিজেদের মধ্যকার তথ্য আদান প্রদান করার বিভিন্ন পদ্ধতি রোবট কন্ট্রোলে যুক্ত হচ্ছে। নিউরাল নেটওয়ার্কের মত নানাবিধ এলগরিদম প্রতিনিয়ত এতে যুক্ত হচ্ছে। রাগ-দুঃখ এর মত মানবিক গুনাবলি ফুটিয়ে তোলার ও চেষ্টা চলছে।
প্রথম রোবটের প্রয়োজনীয়তা উদ্ভুত হয় ইন্ড্রাস্ট্রিয়া application থেকে। মানুষের শক্তির লিমিটেশন থেকেই চিন্তা শুরু। মাইক্রোস্কোপিক মোশন, মোশন-রেজোলেশন, মোশন-প্রিসিশন, আ্যকুরেসি, রিপিটিটিভ আ্যকুরেসি, কর্মদক্ষতা, নোংরা বা অতি উচ্চ বা অতি নিম্ন তাপমাত্রার পরিবেশে কাজ করতে সক্ষমতা থেকেই রোবট তৈরির যাত্রা শুরু।
সুবিধাসমুহঃ
• অসস্থিজনক কাজ/চাকুরীতে ব্যবহার করা যায়
• বিভিন্ন প্রকার কাজ এ ব্যবহার করা যায়
• গুনাগুন এ উন্নতি বৃদ্ধি পায়
• উৎপাদন বৃদ্ধি পায়
• মানুষ যে সকল বিপদজনক কাজ করতে পারদর্শী নয়/অক্ষম সে সকল ক্ষেত্রে
• রোবটরা অসুস্থ হয় না, এরা কোনরকম অভিযোগ ছাড়ায় ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে।
অসুবিধাসমুহঃ
• ফ্যাক্টরিতে জনগণ তাদের চাকুরী হারাতে পারে
• এটাকে চালাতে বৈদ্যুতিক শক্তির প্রয়োজন
• এটাকে কর্মক্ষম রাখতে পরিচর্যার প্রয়োজন
• একটি রোবট তৈরি বা ক্রয় করতে টাকার প্রয়োজন
কোথায় রোবোট ব্যবহার হয়ঃ
মিলিটারি/সিকিউরিটি (প্রতিরক্ষা), রেস্কিউ (উদ্ধার), আনম্যান্ড গ্রাউন্ড / এয়ার ভেহিক্যাল (মানুষবিহীন গাড়ি ও আকাশযান), অ্যান্ডার ওয়াটার ভেহিকেল (পানির নিচে কর্মপোযোগী যান), স্পেস (মহাশুন্য), ইন্ড্রাস্ট্রি (কারখানা), টেলি অপারেশন (দূর থেকে নিয়ন্ত্রন), মেডিক্যাল সার্জারি এমনকি বর্তমানে উন্নত দেশ গুলোতে বাসা বাড়িতে দৈনন্দিন কাজে সাহায্যে, এন্টারটেইনমেন্টে (বিনোদন) ও রোবট ব্যবহার হয়।
সংগৃহীত।।।
-
নানা কাজে দিনে দিনে ব্যবহৃত হচ্ছে রোবটিক প্রযুক্তি। এই যেমন চোখের আড়ালে ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প। চলে এসেছে রোবটিক প্রযুক্তি আর কাজ হারাতে শুরু করেছেন শ্রমিকরা। মুলত দশ বছর পরের পোশাক কারখানায় খুব অল্প শ্রমিকই আসলে কাজ করবে। রোবটিক যন্ত্রপাতির পাশাপাশি তখনো আমরা হয়তো কিছু কর্মীকে কাজ করতে দেখবো। কারখানা জুড়ে তখন বেশি থাকবে নানা ধরণের স্বয়ংক্রিয় রোবটিক যন্ত্রপাতি। থাকবে অনেক কম্পিউটার। কারখানার বড় অংশ জুড়ে থাকবে ডিজাইন রুম। বেশিরভাগ কর্মী কাজ করবে এই ডিজিটাল রোবটিক প্রযুক্তি নিয়ে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1413274318.jpg[/IMG]