1 Attachment(s)
পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে লোকসান কোটি কোটি ডলার।
[ATTACH]13652[/ATTACH]
জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে আর পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নির্ভর হতে পুরো বিশ্বকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর ওপর জোর দিচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, পৃথিবী নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর হলে জ্বালানি তেল উত্তোলক ও রফতানিকারক দেশগুলো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। সেইসাথে হারাবে ট্রিলিয়ন ডলারের রাজস্ব।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান কার্বন ট্রেকার বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিশ্ব সরে আসলে এর অর্থনৈতিক প্রভাবটা ভয়াবহ হবে। ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব হারাবে অনেক দেশ। ২০৪০ সাল নাগাদ ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রাজস্ব হারাবে বিশ্বের সব জ্বালানি উত্তোলক ও রফতানিকারক দেশ।
কিন্তু যেভাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে, তাতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কোনভাবে আর ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে নেমে আসবে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সব ধরণের পদক্ষেপ নিলে জ্বালানি তেলের দামও অনেক কমে আসবে। তবে জ্বালানি রফতানির ওপর নির্ভরশীল নয় এমন দেশ, যেমন ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে না।
জ্বালানি তেলের দাম কমলে অন্তত ৪০ টি দেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জ্বালানি তেল আর গ্যাস খাত থেকে দেশগুলো রাজস্ব হারাবে ৪৬ শতাংশ। এরমধ্যে ৭ টি দেশের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
জ্বালানি তেল আর গ্যাসের ওপর ইরাক আর গুয়েনার ৮০ শতাংশ রাজস্ব নির্ভর করে। সৌদি আরবের রাজস্ব আয়ের ৬০ শতাংশ নির্ভর করে এ খাতের ওপর। অ্যাঙ্গোলা আর আজারবাইজানের লোকসান হবে ৪০ শতাংশ। সৌদি আরব, নাইজেরিয়া আর আলজেরিয়ার লোকসান হবে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্য আর উত্তর আফ্রিকাতেও জ্বালানির ব্যবহার কমে গেলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, কারণ এখানকার দেশগুলো জ্বালাতি তেল রফতানি করে। ঘানা, গুয়েনা আর উগান্ডা আছে ঝুঁকির মুখে। কয়েক বছরের মধ্যেই দেশগুলো উন্নত হবে। জ্বালানি তেল রফতানি নির্ভরতা কমাতে এখনই বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার উপায় নেই।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় গেল বছর অনেক কমেছে জ্বালানির দর। জ্বালানি তেলের দর কমায় লোকসানের মুখে পড়েছে দরিদ্র অনেক দেশ। এক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিকল্প পদক্ষেপ নিতে জোর দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
তারা বলছেন, জলবায়ুতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে এমন ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জ্বালানি তেল ও গ্যাস খাতে বিনিয়োগ না করে জ্বালানি সাশ্রয়ী শিল্পখাতে বিনিয়োগে জোর দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
সূত্র:- বণিক বার্তা।