ইইউতে যুক্তরাজ্যের রফতানি কমেছে ৪০ শতাংশ

চলতি বছরের শুরু থেকে ২৭ দেশের ইউরোপীয় জোট ছেড়ে নতুন অধ্যায় শুরু করে যুক্তরাজ্য। এর মাধ্যমে ৪৭ বছর ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চলা সম্পর্কের অবসান ঘটে। যদিও বরিস জনসনের সরকার ব্রেক্সিট কার্যকরের কয়েক দিন আগে ইইউর সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছতে সক্ষম হয়। তার পরও ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার প্রথম মাসেই ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম এ অর্থনীতি। জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্য থেকে ইইউতে রফতানি কমেছে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ। পাশাপাশি জোটটি থেকে যুক্তরাজ্যের আমদানিও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গেছে। খবর বিবিসি।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের (ওএনএস) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় হ্রাস। ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য হ্রাসের পেছনে অস্থায়ী কিছু কারণকে দায়ী করেছে ওএনএস।

এদিকে নতুন তথ্যে দেখা গেছে, তৃতীয় লকডাউনের মধ্যে জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ২ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। কভিড-১৯ মহামারী শুরুর আগের পর্যায়ের তুলনায় এ সময়ের অর্থনীতি ৯ শতাংশ ছোট ছিল।

ওএনএ জানিয়েছে, ইইউ থেকে আমদানি এবং জোটটিতে রফতানি উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্য থেকে ইইউতে মোট ৫৬০ কোটি পাউন্ডের পণ্য রফতানি হয়েছে। একই সময়ে ইইউ থেকে আমদানি কমে ৬৬০ কোটি পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে। দেশে আসা পণ্যগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই ছিল যন্ত্রপাতি, পরিবহন সরঞ্জাম ও রাসায়নিক। এক্ষেত্রে গাড়ি আমদানির পাশাপাশি ওষুধ ও ওষুধজাতীয় পণ্যগুলো বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিল।

বণিক বার্তা