বৈদেশিক মুদ্রার বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি বলতে কী বোঝায়?

বৈদেশিক মুদ্রার বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি বলতে কী বোঝায়?

বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতিটির সংজ্ঞা মোটামুটি ‘জাতীয়’ মুদ্রাস্ফীতিের সমান, অর্থাত্, বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাপটে পণ্য ও সেবার দাম বাড়ানো। সিপিআই (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স) ব্যবহার করে পরিমাপের ক্ষেত্রেও একই কথা। এটা সত্য যে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি পরিমাপে জটিলতার মাত্রা জাতীয় মূল্যস্ফীতির তুলনায় অনেক বেশি। এর কারণগুলি হ'ল ধারণা, নমুনা, জনসংখ্যার ভিত্তিতে ডেটা ভিত্তিক, ভৌগলিক কভারেজ, মানদণ্ড হিসাবে ব্যবহৃত আইটেম এবং অন্যান্য পার্থক্য। এটিই বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির হার পরিমাপ করা কঠিন করে তোলে। জাতীয় সিপিআই পরিমাপ সাধারণত শহুরে সম্প্রদায়ের আয় এবং ব্যয়ের স্তরের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় তা উল্লেখ করা উচিত নয়।

[ATTACH=CONFIG]14394[/ATTACH]

বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির হার পরিমাপের পদ্ধতিটি তিন ধরণের মধ্যে বিভক্ত হতে পারে, যথা:

ক। সাধারণ গড়: এই পদ্ধতিটি প্রতিটি দেশের সমান ওজন পাওয়ার জন্য জাতীয় সিপিআই অবস্থান করে মুদ্রাস্ফীতির হার গণনা করে।
খ। ওজনিত গড়: এই পদ্ধতিটি বিশ্বের দেশগুলিতে জিডিপি হিসাবে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি গণনা করে।
গ। মাঝারি দামের পরিবর্তন: এই পদ্ধতিটি বিশ্বের দেশগুলিতে গড় মূল্য পরিবর্তনের মধ্যপয়েন্ট দেখায়।

বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির কারণগুলি:

মূল্যস্ফীতির উত্স: বৈশ্বিক এবং দেশীয় চালকদের কাগজ অনুসারে, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বিশ্ব আউটপুট এবং তেলের দাম দ্বারা প্রভাবিত হয়।

ক। বিশ্বের তেলের দামের পরিবর্তন: বিশ্ব তেলের আউটপুট বৃদ্ধি এবং পতনের ফলে প্রতিটি দেশে শক্তির দামে পরিবর্তন বাড়ে যা ফলস্বরূপ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি বা হ্রাস সৃষ্টি করে। তেলের দামের এই পরিবর্তনকে বিভিন্ন বড় ঘটনা থেকে আলাদা করা যায় না, যেমন মধ্য প্রাচ্যের যুদ্ধ এবং করোনাভাইরাস মহামারী।

খ। গ্লোবাল আউটপুট: বৈশ্বিক আউটপুট বৃদ্ধি জাতীয় স্তরে মুদ্রাস্ফীতির হার এবং সুদের হারকে বাড়ায়। যেখানে এটি বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির হারের পরিবর্তনের উপর প্রভাব ফেলবে। তেমনিভাবে, যখন বিশ্বব্যাপী মহামারী মহামারীর মতো নেমে আসে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতিজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির হারও হ্রাস পাবে।

কীভাবে দেশগুলি বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারে?

প্রতিটি দেশে মুদ্রাস্ফীতি পরিচালনার জন্য দায়ী দল হ'ল প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুতরাং, এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির একটি বিশেষ চ্যানেল রয়েছে যা 'পিয়ার চাপে পরিণত হয়, উদাহরণস্বরূপ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির মধ্যে বৈঠক। সুতরাং যখন কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে বা কম করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি বিভিন্ন নীতিমালা দিয়ে সাড়া দেয়। উদাহরণস্বরূপ, যখন ফেড আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের করোনার পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রতিক্রিয়া হিসাবে সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, তখন ফেডের পরিকল্পনাটি কার্যকর হওয়ার আগে ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে বাড়ানোর জন্য সুদের হার কমিয়ে দেবে।