গতি ফিরছে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিতে!
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1209340085.jpg[/IMG]
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর নতুন ধরন মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপের কারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সংকুচিত হয়েছে সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক কার্যক্রম। তবে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির চিত্র অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটির অর্থনীতি এক দশকের তুলনায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক কভিড টিকা প্রয়োগের হার বৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় আগের মতো গতি ফিরে পেলে এ অবস্থার দ্রুতই উত্তরণ হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে যখন অনেক দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত অবস্থা অতিবাহিত করেছে তার তুলনায় সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছে বলে মত তাদের। অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ অ্যালেক্স হোমস জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করায় বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি কিছুটা হোঁচট খেয়েছে। তবে নতুন করে সংক্রমণের হার হ্রাস এবং বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে অর্থনীতি কয়েক মাসের মধ্যেই আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে বলে আশা করা যায়।
অ্যালেক্স হোমস আশা করেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সিঙ্গাপুরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সরকারের প্রত্যাশিত ৪ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের মতো স্পর্শ করবে। ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি দশমিক ৯ শতাংশ কম অর্জিত হয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি ২ শতাংশের মতো হ্রাস পেয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতিতে ৩ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছিল। বুধবার দেশটির সরকারের প্রকাশিত এক প্রাথমিক তথ্যে এমনটা দেখা যায়।
সিঙ্গাপুরের ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বার্ষিক হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়কালে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। রয়টার্সের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ সময়ে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদরা। ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির বার্ষিক ভিত্তিতে জিডিপির হ্রাস ঘটেছিল সর্বোচ্চ হারে। ওই বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরের জিডিপি ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। এ সময় দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলই নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলার স্বার্থে লকাডাউন অবস্থায় ছিল। মে মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সিঙ্গাপুর। এ সময় জনসমাগম ও অন্যান্য নিয়মিত কাজকর্মের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। টিকাদান কার্যক্রম বিস্তৃত হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।