1 Attachment(s)
ব্রেইন কম্পিউটার: মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (bci) হল মস্তিষ্কের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত হবে কম্পিউটার সিস্টেম। কম্পিউটার বা কম্পিউটারভিত্তিক ডিভাইসগুলোর সাথে মানুষের যোগাযোগ হয় মাউস, কি-বোর্ড, টাচ-স্ক্রিন, মনিটর, স্পিকারসহ ইনপুট-আউটপুট সংক্রান্ত কাজে সাহায্য করে এমন অসংখ্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে। ইনপুট ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারী কম্পিউটারকে নানা নির্দেশ দিয়ে থাকে এবং সেই নির্দেশের উপর ভিত্তি করেই কম্পিউটারের প্রসেসিং ইউনিট বা cpu কাজটি সম্পাদন করে আউটপুট ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে তা ব্যবহারকারীকে দেখার সুযোগ দেয়।
ইনফ্রারেড সুইচ, মোশন সেন্সর, স্পিচ জেনারেটেড কমান্ড, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি সহ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সভিত্ িক স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্টে মতো উন্নত প্রযুক্তি কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগের এই ব্যবস্থাকে আরো সহজ করে দিয়েছে। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা থেকে শুরু করে সুস্থ, অসুস্থ- অনেক মানুষই উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে নিজের অসম্পূর্ণতা, অক্ষমতাগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সাথে সাথে সীমিত পর্যায়ের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে নিচ্ছে। হাত-পা নাড়াতে পারছে না এমন যে কেউ হুইল চেয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। দৃষ্টিশক্তি নেই এমন যে কেউ চাইলেই ভয়েস নিয়ন্ত্রিত সফটওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটারকে নির্দেশনা দিতে পারছে, ফলাফল পাচ্ছে স্পিকারের মাধ্যমে। অর্থাৎ, কম্পিউটারের সাথে ইন্টার*্যাকশনের জন্য মানুষকে কোনো না কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাহায্য নিতে হয়, সামান্য হলেও পেশি শক্তির ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু যাদের দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি ও বাকশক্তি নেই, স্টিফেন হকিংয়ের মতো পুরোপুরি বোধশক্তিহীন, তারা কিন্তু চাইলেই কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে না। অর্থাৎ, প্রযুক্তির এত সুবিধা থাকতেও সেগুলো ব্যবহারের সুযোগ তাদের নেই। থাকলেও তা সীমিত পর্যায়ে। আর এই জায়গাটিতেই ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের আগমন।
[attach=config]14951[/attach]
মানবদেহ এবং ইন্দ্রিয়গুলো যেহেতু পুরোপুরি মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত, সেহেতু যদি কম্পিউটারগুলো ইনপুট-আউটপুটের জন্য পুরোপুরি মস্তিষ্ক নির্ভর হয়, তাহলেই উপরোক্ত সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যায়। অর্থাৎ, ভবিষ্যতের উন্নত ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের সাহায্যে দৃষ্টিশক্তি নেই এমন কাউকে ক্যামেরার সাহায্যে প্রাপ্ত দৃশ্যের বিস্তারিত তথ্য সরাসরি ব্রেইনে প্রবেশ করিয়ে দিলেই মানুষটি সাধারণ মানুষের মতো দেখতে পারবে। স্টিফেন হকিংয়ের মতো বোধশক্তিহীন, বাকশক্তিহীন মানুষগুলো শুধুমাত্র মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়েই কম্পিউটারের মাধ্যমে লেখালেখি চালিয়ে যেতে পারবেন, কথা বলতে পারবেন অনবরত। এমনকি, যান্ত্রিক শরীরের সাহায্যেও সাধারণ মানুষের মতো স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডগুলো চালাতে পারবে।