বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জোর নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন
গত বছর বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ শুরু করে চীন। প্রতিষ্ঠানগুলোর একচেটিয়া ব্যবসা ও ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় এ উদ্যোগ নেয় বেইজিং। এরই মধ্যে আলিবাবা ও টেনসেন্টের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবার নিয়ন্ত্রণ জোরালো করতে পাঁচ বছরের একটি রূপরেখা প্রকাশ করেছে চীন সরকার। লক্ষ্য হলো, চীনা অর্থনীতির বৃহত্তর অংশকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিয়ে আসা। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের এ রূপরেখা প্রধান শিল্পগুলোর ওপর ব্যাপক ক্র্যাকডাউনের জন্য একটি বিস্তৃত কাঠামো সরবরাহ করেছে। রূপরেখাটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে জাতীয় নিরাপত্তা, প্রযুক্তি ও একচেটিয়া ব্যবসাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি ও শিক্ষা সম্পর্কিত শিল্প লক্ষ্য করে ব্যবস্থা নেয়ার পর পরই বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা সামলে এল। ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত চলা এ ১০ দফা পরিকল্পনা চীনের স্টেট কাউন্সিল ও কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি যৌথভাবে প্রকাশ করেছে।
পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, সংস্কৃতি ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোকে শক্তিশালী আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পরিকল্পনায় আরো বলা হয়েছে, চীন সরকারের লক্ষ্য একচেটিয়া ব্যবসা ও বৈদেশিক আইনি প্রস্তাব মোকাবেলা করা।
ইন্টারনেট ফাইন্যান্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মতো চীনের ডিজিটাল অর্থনীতি সম্পর্কিত নিয়মাবলিও এ নিয়ন্ত্রণের আওতায় পর্যালোচনা করা হবে।
বণিক বার্তা