নতুন উচ্চতায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মূল্যস্ফীতি
কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে পশ্চিমা বিশ্ব। চলতি বছরের শুরু থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে উন্নত এ অর্থনীতিগুলো। বছরের প্রথমার্ধে দেখা পায় শক্তিশালী প্রবৃদ্ধিরও। বছরের মাঝামাঝির পর নানা সংকট জেঁকে ধরে দেশগুলোকে। তুমুল চাহিদার এ সময়ে সরবরাহ চেইনে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জটিলতার। ক্রমবর্ধমান রয়েছে জ্বালানির দাম। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মূল্যস্ফীতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ফলে দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে তৈরি হয়েছে ধীরগতি। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, আগস্টে পণ্যের মূল্য আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। আগের মাসের তুলনায়ও এ হার সামান্য বেশি। আগস্টের এ বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির হার ১৯৯০ সালের পর সর্বোচ্চ। পাশাপাশি জ্বালানি ব্যয়ও আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত গাড়ি থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে ইউরোপের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করা ১৭টি দেশে সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। আগস্টে এ বৃদ্ধির হার ছিল ৩ শতাংশ। গত মাসের এ মূল্যস্ফীতি ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ। প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিদ্যুতের নেতৃত্বে আগের বছরের তুলনায় জ্বালানির দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের মূলবৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষদের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উচ্চাভিলাষী ব্যয়ের পরিকল্পনা আরো জটিল করে তুলতে পারে। পাশাপাশি এ পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/392883304.jpg[/IMG]