জাপান তার অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় বড় একটি প্রণোদনা প্যাকেজের রূপরেখা দিয়েছে

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও তার দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় একটি প্রণোদনা প্যাকেজের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এ প্যাকেজের আয়তন ৫৬ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৪৯ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এর আওতায় মন্দা হয়ে পড়া ব্যবসা গুলোকে নগদ অর্থসহায়তা দেয়া হবে। যেন মহামারীর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ব্যবসায়ীরা আবার মূল ধারার ব্যবসায় ফিরতে পারে।
[ATTACH=CONFIG]16030[/ATTACH]

কভিড-১৯-এর ভ্যারিয়েন্টগুলোক� � যদি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে জাপানের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এমনই শঙ্কার কথা জানিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই এমন কথা জানাল প্রতিষ্ঠানটি। দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে করা সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে ওইসিডি বলেছে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে দৌড়ে হেরে যাওয়ার মানে আবার রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে। ফলে পুনরুদ্ধার আরো বিলম্বিত হবে। তাতে যতই সরকারের কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা বিতরণে অগ্রগতি থাক। বিশ্বের ৩৮টি ধনী দেশের প্যারিস কেন্দ্রিক ক্লাবটি বলছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে জরুরি অবস্থা তৈরি হলে জনগণকে অপ্রয়োজনে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত করা হবে। জরুরি নয় এমন ব্যবসার কাজও বন্ধ করে দেয়া হবে। এ মাসের শুরুতে ওইসিডি তাদের সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে অনুমান করেছিল, ২০২১ সালে জাপানের অর্থনীতি ১ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়বে। ২০২২ সালে সেটা বাড়বে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
[ATTACH=CONFIG]16128[/ATTACH]