পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি কমেছে জাপানের শিল্পোৎপাদন

কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে প্রবৃদ্ধিতে ফিরছিল জাপান। গত বছরের শুরু থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে দেশটির অর্থনীতি। তবে বছরের শেষ দিকে আবারো সংক্রমণ বৃদ্ধির মুখোমুখি হয় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। ফলে ডিসেম্বরে সংকুচিত হয়েছে দেশটির শিল্প খাতের উৎপাদন। এ অবস্থায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির পুনরুদ্ধার নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। গতকাল প্রকাশিত সরকারি ডাটা অনুসারে, ডিসেম্বরে জাপানের শিল্পোৎপাদন আগের মাসের তুলনায় ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। যদিও রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা দশমিক ৮ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এ নিয়ে গত তিন মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশটির শিল্পোৎপাদন কমেছে। এ সময়ে গাড়ি উৎপাদন কিছুটা বাড়লেও কমে গেছে যন্ত্রপাতির উৎপাদন। এক্ষেত্রে চিপ তৈরির সরঞ্জাম, ইঞ্জিন ও কাঁচামালসহ কৃষি খাতের যন্ত্রপাতি উৎপাদন নিম্নমুখী হয়েছে। এদিকে ২০২১ সালের শেষ দিকে কভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা কমে যাওয়ায় দেশটির খুচরা বিক্রি বেড়েছে। ডিসেম্বরে খুচরা বিক্রি বার্ষিক হিসেবে টানা তিন মাসের মতো বেড়েছে। তবে জানুয়ারিতে আবার রেকর্ড সংক্রমণের কারণে ভোক্তারা প্রভাবিত হতে পারেন। ফলে খুচরা বিক্রি আবারো নেতিবাচক ধারায় ফিরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[ATTACH=CONFIG]16618[/ATTACH]
তথ্যানুসারে, ডিসেম্বরে গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনের উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এটি নভেম্বরে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ ও অক্টোবরে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ার তুলনায় অনেক কম। এ অবস্থায় একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, গাড়ি শিল্পের কিছু প্রতিষ্ঠান চিপের সরবরাহ বাড়াতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। চিপের সরবরাহ বাড়ছে। তবে প্রতিষ্ঠানভেদে পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্মাতাদের ওপর পরিচালিত অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সমীক্ষা অনুসারে, জানুয়ারিতে কারখানার কার্যক্রম ৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং ফেব্রুয়ারিতে ২ দশমিক ২ শতাংশ বাড়ার আশা করছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এখানে গত ১০ জানুয়ারি সমীক্ষাটির সময়সীমার পর দেয়া উৎপাদন কমার পূর্বাভাস অন্তর্ভুক্ত ছিল না