1 Attachment(s)
কানাডার বেকারত্ব হার প্রথমবারের মতো প্রাক-কভিডের নিচে
কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে পুনরুদ্ধার হচ্ছে কানাডার অর্থনীতি। ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে পূর্বাভাসের চেয়েও ছাড়িয়ে গেছে নতুন চাকরির সংখ্যা। এ নিয়ে প্রথমবারের মতো দেশটির বেকারত্ব হার মহামারীপূর্ব সময়ের নিচে নেমেছে। দেশটির পরিসংখ্যান অফিস স্ট্যাটিসটিকস কানাডা অনুসারে, গত মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ জন নতুন চাকরি শুরু করেছে। এ সংখ্যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ১ লাখ ৬০ হাজারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। এ সময়ে দেশটির বেকারত্ব হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমেছে। ২০১৯ সালের মে মাসে ৫ দশমিক ৪ শতাংশের পর এটিই সর্বনিম্ন। কভিডজনিত কঠোর বিধিনিষেধ শেষে পুনরায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু হওয়ায় এমনটা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
[ATTACH=CONFIG]17025[/ATTACH]
ফেব্রুয়ারিতে কর্মঘণ্টা বেড়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। স্থায়ী কর্মচারীদের ঘণ্টায় গড় মজুরি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থান এখন প্রাক-মহামারীর পর্যায়ের ১ দশমিক ৯ শতাংশ ওপরে। কানাডার আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ডেসজার্ডিনস গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ জিমি জিন বলেন, আমরা কর্মসংস্থান বাড়ার প্রত্যাশা করেছিলাম। তবে এমন উল্লম্ফনের আশা করিনি। কানাডার খুব স্থিতিশীল শ্রমবাজারের ইতিহাস রয়েছে। বাজারটি এখন কভিডজনিত বিপর্যয় কাটিয়ে পুনরুদ্ধার হচ্ছে। দেশে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এবং এটি মজুরি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তাদের উচ্চমূল্যস্ফীতির প্রভাব শোষণ করতে সক্ষম।
এদিকে জানুয়ারিতে কানাডার মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে। এ হার ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় সভায় ব্যাংক অব কানাডা দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে গভর্নর টিফ ম্যাকলেম বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সুদের হার বাড়ানোর উল্লেখযোগ্য সুযোগ রয়েছে। ক্রমবর্ধমান পণ্যের দাম রোধ করার জন্য এ পদক্ষেপ অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
আগামীতে শ্রমবাজারে নতুন কর্মসংস্থান আরো আক্রমণাত্মকভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এ পূর্বাভাসে বেশ কয়েকটি ঝুঁকি রয়েছে। বিএমও ক্যাপিটাল মার্কেটসের প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেন, এমনটা এপ্রিলে ঘটবে বলে মনে হচ্ছে না। শ্রমবাজারে খুব বেশি অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ঠিক কখন শেষ হবে, তা কেউ বলতে পারছে না। বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে স্থিতিশীলতা নিয়ে স্পষ্টতা না পাওয়া পর্যন্ত শ্রমবাজারের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। ভূরাজনৈতিক সংকটে এরই মধ্যে মুদ্রাবাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। ডলারের বিপরীতে কানাডীয় ডলারের দাম ওঠানামাও শ্রমবাজারে প্রভাব ফেলতে পারে।