1 Attachment(s)
ক্রড ওয়েলের দাম কমতে শুরু করেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম ১৩০ ডলারে উঠে গিয়েছিল। তবে সেই মূল্যবৃদ্ধির ধারায় ছেদ পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়ায় ৯৯ দশমিক ৭৪ ডলারে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল সরবরাহ করায় দামে নিম্নগতি এসেছে।
[ATTACH=CONFIG]17036[/ATTACH]
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর জ্বালানি তেলের দাম তরতর করে বাড়তে শুরু করে। গত ৬ মার্চ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রতি ব্যারেল ১৩৯ ডলারে উঠে যায়। অর্থাৎ সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছার পর জ্বালানির দাম প্রায় এক-চতুর্থাংশ কমেছে। ১ মার্চের পর এই প্রথম জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলারের নিচে নামল।
ইউক্রেনে রুশ অভিযানের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে—এমন খবরে সারা বিশ্বে শেয়ারবাজারগুলোয় মূল্যপতন ও তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। তখন আশঙ্কা করা হচ্ছিল, অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০০ ডলার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। অনেকে বলছেন, ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর তেল নিষেধাজ্ঞা জারি হলে বিশ্ব অর্থনীতি যেভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিল, সে রকম একটি পরিস্থিতি হতে পারে। অর্থনীতির নিয়মানুযায়ী বাজারে চাহিদা-জোগানের ভিত্তিতে পণ্যের দাম নির্ধারিত হয়। সে জন্য যুদ্ধের এই বাস্তবতায় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কী হবে, তা নির্ভর করবে মূলত বাজারে জোগানের ওপর। সবাই এখন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত। ফলে জ্বালানির চাহিদা আছে। এখন জোগান নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ বড় দেশগুলো বাজারে তেল ছাড়ার যে কৌশল নিয়েছে তা সফল হলে দাম হয়তো খুব বেশি বাড়বে না বিশ্লেষকেরা এমনটাই মনে করছেন।