1 Attachment(s)
ইনভেস্টোপিয়া সামিটে অন্যতম আলোচ্য বিষয় ক্রিপ্টোকারেন্সি
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হলো ইনভেস্টোপিয়া সামিট। বিশ্বের প্রধান প্রধান বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে বিশ্লেষক, নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও স্টেকহোল্ডাররা একত্র হয়েছিলেন অনুষ্ঠানটিতে। মূলত বৈশ্বিক ভূ-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে এর প্রভাব ইনভেস্টোপিয়া সামিটের অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয়বস্তু। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে মোট ২০টি অধিবেশনে নব্য অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। গতকাল অনুষ্ঠিত ইনভেস্টোপিয়া সামিটে বিশেষ কিছু অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এর মধ্যে রয়েছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা। এছাড়া বর্তমান প্রধান অর্থনৈতিক পরিবর্তন ও বিনিয়োগকারীদের ওপর এর প্রভাব এবং বিশ্বায়নকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর প্রবণতাও আলোচ্য বিষয়বস্তুর অংশ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে এ বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অর্থমন্ত্রী আব্দুল্লা বিন তুক আল মারি বলেন, বর্তমান বিশ্ব অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বৈশ্বিক অর্থনীতি পরিচালনায় যা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে। এর প্রভাব পড়ছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর। মোট ২০টি অধিবেশন, কর্মশালাসহ এটি সামিটের একটি প্রধান আলোচনার বিষয় হবে। পাশাপাশি মেটাভার্স ও ভবিষ্যৎ ব্যবসাক্ষেত্রে এর প্রভাবও হবে অন্য একটি আলোচ্য বিষয়বস্তু। এছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে নতুন কিছু উন্নয়ন নিয়েও বিশদ আলোচনা হয় বলে জানান ইউএইর অর্থমন্ত্রী। ক্রিপ্টোকারেন্সি ফলে পরবর্তী প্রজন্মের আর্থিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে উৎসাহী হয়ে উঠছে ব্যাংকগুলো। ইনভেস্টোপিয়া সামিটের একটি প্রধান এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে মহাশূন্যে বিনিয়োগ ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ।
[ATTACH=CONFIG]17226[/ATTACH]
এদিকে ইনভেস্টোপিয়া সামিটের কৃষিজ প্রযুক্তিসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জের বিষয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ অংশের আলোচনার মধ্যে রয়েছে খাদ্যনিরাপত্তাসহ প্রযুক্তির ফলে বৈশ্বিক খাদ্য পরিবর্তন। স্বাস্থ্য খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা বিষয়েও দীর্ঘ আলাপ হবে বলে জানা গেছে। বর্তমানে বিশ্ব বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে নারী নেতৃত্ব নিয়ে সরব হয়ে উঠছে। সামিটের অন্যতম এজেন্ডা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি। পাশাপাশি টেকসই ব্যবসা পরিবেশ নিশ্চিত করা ও পরিচালনাও রয়েছে আলোচ্য বিষয়বস্তুর অংশ হিসেবে। ইউএই সরকারের অন্যতম প্রধান কৌশলগত প্রকল্পের মধ্যে একটি হলো ইনভেস্টোপিয়া সামিট। সংশ্লিষ্টরা জানান, এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ৫৫ হাজার কোটি দিরহাম প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যাবে।