1 Attachment(s)
মেটাভার্সে পরীক্ষা চলছে অর্থ আয়ের ‘টুল’ নিয়ে
মেটাভার্সের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্লাটফর্ম ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডস’-এর জন্য মুদ্রা আয়ের একটি টুল পরীক্ষা করছে ফেইসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। মেটাভার্স তৈরিতে এ পরীক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাতাদের সরাসরি আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কোনো সুযোগ এতদিন ছিলনা প্লাটফর্মটিতে। সেই অবস্থা বদলানোর লক্ষ্যে কাজ করছে মেটা। “হরাইাজন ওয়ার্ল্ডস নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, নির্মাতাদের জন্য সংশ্লিষ্ট সেরা টুলগুলো সরবরাহ করা যেন একটি বন্ধুসুলভ ভিআর দুনিয়ায় নতুন জীবন আনতে পারেন তারা”-- হরাইজন ওয়ার্ল্ডস ঘোষণার সময় বলেছিল মেটা।
প্রাথমিকভাবে, মেটার এই টুল পৌঁছাবে নির্বাচিত কিছু ব্যবহারকারীর কাছে। যারা প্রতিষ্ঠানটির প্লাটফর্মে, ‘ভিআর’ হেডসেট দিয়ে প্রবেশযোগ্য ভার্চুয়াল ক্লাস, গেইমস এবং ফ্যাশন সামগ্রী তৈরি করছে।--এক বিবৃতিতে বলেছে মেটা। টুলটি ব্যবহার করে নির্বাচিত ব্যবহারকারী নিজের তৈরি বিশেষ ডিজিটাল স্পেসে বিভিন্ন সামগ্রী বা অফার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। “আমরা শুধু এখানে অনেকগুলো সুন্দর দুনিয়া চাই।”-- হরাইজন ওয়ার্ল্ড ‘অ্যাভাটার’ ব্যবহার করে, প্লাটফর্মের প্রাথমিক পর্যায়ের গ্রাহকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেছেন মেটা প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। “এটি বাস্তবায়নে অনেক নির্মাতা প্রয়োজন, যারা নিজেদের সমর্থন করতে একে চাকরী হিসেবে নিতে পারবে।”
এ ছাড়া হাতে গোনা কিছু হরাইজন ওয়ার্ল্ডস ব্যবহারকারীর জন্য ‘ক্রিয়েটর বোনাস’ নামের একটি ফিচার পরীক্ষা করে দেখছে মেটা। যারা মেটার বের হওয়া নতুন ফিচারগুলো ব্যবহার করবে, ফিচারটি প্রতি মাসে সেসব অংশগ্রহণকারীকে পারিশ্রামিক দেবে। সামাজিক যোগাযোগের শীর্ষ মাধ্যম ফেইসবুক নাম পাল্টে ‘মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড’ হওয়ার পর থেকে ভার্চুয়াল এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি বড় আকারে বিনিয়োগ করছে প্রতিষ্ঠানটি। মেটাভার্সের মতো ভার্চুয়াল পরিবেশে পৌঁছাতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মেটা। যেখানে বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে কাজ করতে, সামাজিকতা তৈরি করতে এবং গেইম খেলতে পারবেন ব্যবহারকারী। তবে, ভার্চুয়াল দুনিয়ার নতুন খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে মেটাকে। যেগুলোর প্লাটফর্মে ‘নন-ফাঞ্জিবল টোকেন (এনএফটি)’ বা ব্লকচেইন-ভিত্তিক ভার্চুয়াল অ্যাসেট দিয়ে ডিজিটাল জমি, বিল্ডিং, অ্যাভাটার, এমনকি নাম পর্যন্ত কেনা বেচা হচ্ছে।
গত বছর ডিজিটাল অ্যাসেটের বাজার ব্যপক হারে বেড়েছে। এতে বিক্রির পরিমান কিছু ক্ষেত্রে কয়েক লাখ ডলার পর্যন্ত ছুয়েছে
[ATTACH=CONFIG]17477[/ATTACH]