প্রত্যাশার চেয়েও জিডিপি বেড়েছে চীনে
চীনের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়েও ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই লকডাউন সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতির গতি রোধ করতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম তিন মাসের তথ্য সোমবার প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস)। গত মাসে নিক্কেই এশিয়া একটি জরিপ চালিয়েছে যেখানে ৩০ জন অর্থনীতিবিদ অংশ নেন। সে সময় তারা জিডিপি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। চীনের অর্থনীতি ১ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই হার আগের তিন মাসের বৃদ্ধির চেয়ে কিছুটা ধীরগতিতে হয়েছে। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ, দুর্বল বাজার এবং দুই বছর ধরে করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে দেশটি। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে একাধিক বার লকডাউন জারি করতে হয়েছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও চীনের অর্থনীতি ভালো ভাবেই টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2042461654.jpg[/IMG]
অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র সাংহাইয়ের উত্তরপূর্বাঞ্চলে তিয়ানজিন এবং জিলিনের মতো বড় বড় শহর এবং শেনজেনের মতো উৎপাদন কারখানার কেন্দ্রগুলো প্রথম প্রান্তিকে সাময়িকভাবে বন্ধই ছিল। তুলনামূলকভাবে আশাব্যঞ্জক জিডিপি সত্ত্বেও গত মার্চে কারখানার কার্যকলাপ এবং খুচরা বিক্রয় ডেটা অনুযায়ী, বিশ্বের দুই নম্বর অর্থনীতির দেশটির জন্য এটা বেশ কঠিন সময় ছিল। লকডাউনের কারণে ভোক্তাদের কেনাকাটা কমে যাওয়ায় দেশটিতে গত মাসে খুচরা বিক্রয় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। যদিও ওই সময়ে বিভিন্ন কারখানার কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বছরের প্রথম দুই মাসের চেয়ে এই গতি কিছুটা মন্থর ছিল। গত মার্চে চীনে বেকারত্বের হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশে। ২০২০ সালের মে মাসের পর এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।