1 Attachment(s)
ফ্রান্সের ভাগ্য নির্ধারণী নির্বাচন আজ
চূড়ান্ত পর্যায়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ। এর মধ্য দিয়েই আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্ধারিত হবে ফ্রান্সের ভাগ্য। প্রথম ধাপের নির্বাচন শেষে এরই মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। অন্যদিকে অতি ডানপন্থী নেত্রী মারি লো পেনও রয়েছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। আজ রোববার চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোটে ফ্রান্সের নাগরিকরাই ঠিক করবেন কে হতে যাচ্ছেন তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এ ভোটগ্রহণ চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। সাম্প্রতিক মতামত জরিপে দেখা গেছে, মাখোঁ খানিকটা এগিয়ে আছেন। বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, ফ্রান্সের নাগরিকদের অনেকেই লোপেনে ভরসা রাখতে পারছেন না। তবে এই অতি-ডানপন্থী নেত্রীর বিজয়কে উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেক বিশ্লেষক। তাদের মতে, বিরাট সংখ্যক ভোটার আছেন যারা কাকে ভোট দেবেন বা আদৌ ভোট দেবেন কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। তারা লো পেনকে ভোট দিলে তিনি অনায়াসেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয় লাভ করতে পারেন।
[ATTACH=CONFIG]17615[/ATTACH]
তবে মতামত জরিপ অনুযায়ী দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর কেউই পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভোটারের ওপর নির্ভর করতে পারছেন না। এদিকে ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর মাখোঁর অসংখ্য সমর্থক তার কার্যক্রমের বিরোধিতা করেছেন। এর ফলে ফ্রান্সের শাসনভার একজন অতি-ডান ব্যক্তির হাতে চলে যেতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পাঁচ বছর আগে নির্বাচিত হওয়া ৪৪ বছর বয়সী মাখোঁ অতি-ডানপন্থী লো পেন সম্পর্কে সতর্কতামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। জয়ী হলে মুসলিমদের হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো বিতর্কিত নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন লো পেন। ফলে তার বিজয় ফ্রান্সে ‘গৃহযুদ্ধ’ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মাখোঁ। তাই অতি-ডানকে রুখে দিতে সব শ্রেণীর ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান এ মধ্যপন্থী নেতা।
অন্যদিকে জীবনযাত্রার বর্তমান ব্যয়কে পুঁজি করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন ৫৩ বছর বয়সী লো পেন। বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বাড়ায় ফ্রান্সে জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বেড়ে গেছে বলে মনে করেন অনেক ফরাসী। মাখোঁর নেতৃত্বের ধরনের সমালোচনাও করেন এ নেত্রী। মাখোঁর নেতৃত্ব সাধারণ মানুষের জন্য এক ধরনের অভিজাত অবজ্ঞা প্রকাশ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত ১০ এপ্রিল প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ সময় ডান-বাম এবং মধ্যপন্থী মিলিয়ে ১২ জন প্রার্থী অংশ নেন। প্রথম ধাপে ইমানুয়েল মাখোঁ পেয়েছিলেন ২৮ দশমিক ১ থেকে ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে লো পেন পেয়েছেন ২৩ দশমিক ৩ থেকে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা জ্যা-লুক মেলেনচন পেয়েছেন ২০ শতাংশ ভোট।