1 Attachment(s)
পুনঃরপ্তানির কারনে জার্মানির অস্ত্র সহায়তা বন্ধ।
[ATTACH=CONFIG]17675[/ATTACH]
ইউক্রেন রাশিয়ার মধ্যেকার চলমান যুদ্ধের দুই মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো পক্ষ থেকে সমঝোতায় পৌছায়নি। যত দিন যাচ্ছে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আগুনে ঘি ডালার মতো নোটো জোট সামরিক সহায়তা বৃদ্ধি করেছে ইউক্রেনে। তারই ধারাবাহিকতায় জার্মানি যথেষ্ট শক্তিশালী হওয়া সত্বেও তারা অন্য দেশ থেকে অস্ত্র ক্রয় করছে। এর মানে তারা চাইছে যে সকল দেশকে এই যুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত করতে। আমরা আরও দেখতে পাবো রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ করছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। জার্মানি অস্ত্র সরবরাহ না করায় তাদের ওপর অসন্তোষ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড থেকে কেনা যুদ্ধ-সামগ্রী ইউক্রেনে পাঠাতে চেয়েও পারছে না জার্মানি। কারণ আমদানির চুক্তি অনুযায়ী অন্য দেশে পাঠানোর আগে সুইজারল্যান্ডের অনুমতি নিতে হবে। সেই অনুমতিই পাচ্ছে না জার্মান সেনাবাহিনী। দুই-দুবার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। দুবারই তাতে অসম্মতি জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের অস্ত্র রপ্তানিবিষয়ক সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ স্টেট সেক্রেটারিয়েট ফর ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স । সেকোর মিডিয়া মুখপাত্র মিশায়েল ভ্যুথরিশ জানান নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখার স্বার্থে এবং দেশের যুদ্ধ সামগ্রীসংক্রান্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার দায়বদ্ধতার কারণে সুইজারল্যান্ডের পক্ষে অনুমতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যে দেশে পাঠানো হবে সেই দেশ যাতে অস্ত্রগুলো আবার অন্য কোনো দেশে না পাঠায় তা নিশ্চিত করতে গ্রহীতা দেশের কাছ থেকে আগাম নন-রিএক্সপোর্ট ডিক্লারেশন, অর্থাৎ প্রাপ্ত অস্ত্র অন্য দেশে রপ্তানি না করার অঙ্গীকারনামা নেয় সুইজারল্যান্ড। এমন অঙ্গীকারনামা না পেলে তারা অস্ত্র রপ্তানি করে না। এ আইনটি আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। এখন দেখার বিষয় হলো সুইজারল্যান্ড কি নেটোর চাপে নতি হয়ে পরিশেষে অস্ত্র সরবরাহ করতে বাধ্য হবে।