1 Attachment(s)
রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে ইইউতে বিভক্তি।
রাশিয়াকে কোনঠাসা করতে আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব নানা ধরনের অর্থনৈতিক অবরোধ করেছে। কিন্ত বাস্তবতা অনেকটা ভিন্ন আমেরিকা মধ্যেপ্রাচ্য সহ আরোও বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়েল রপ্তানি করে এবং মজুদ করে। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব অনেকটা জ্বালানীর জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। এই লক্ষ্য তাদের সমুদ্রের নিচে দিয়ে পাইপ লাইন আছে। রাশিয়ার গ্যাস ও তেলের উপর জার্মানিসহ অনেক দেশই অনেকটাই নির্ভরশীল। কিন্তু ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইইউ বিভক্তি দেখা দিয়েছে। ইইউর ২৭টি দেশ কমবেশি রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লার উপর নির্ভরশীল। ইইউ তাদের চাহিদার ২৬ শতাংশ তেল ও ৪০ শতাংশ গ্যাস রাশিয়া থেকে আমদানি করে। জার্মানি বলছে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দিকে যেতে পারবে। আর রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে হাঙ্গেরি। তবে স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খুবই ভালো। তারা জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়ার উপর তেল-গ্যাস-কয়লা নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা তারা মানবে না।
[ATTACH=CONFIG]17686[/ATTACH]
ইইউর বেশ কিছু দেশ মনে করে, রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তাহলে রশিয়া বড় ধাক্কা খাবে। কিন্তু অনেক দেশ এটাও মনে করছে এই সিদ্ধান্ত নিলে তার বড় প্রভাব ইইউ-র উপরও এসে পড়বে। ইইউ-কেও সেই ধাক্কা সামলাতে হবে। এখন দেখার বিষয় রাশিয়াকে অবরুদ্ধ করতে গিয়ে শেষমেশ ইইউ দেশগুলো বিপদে পরে না যায়।