রুশ তেল আমদানি কমাতে সম্মত ইইউ নতুন উচ্চতায় যেতে পারে তেলের দাম
আগের ইউইউ সভার সিদ্ধান্ত মতাবেক রাশিয়ার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি তেল আমদানি বন্ধ করার পরিকল্পনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা সম্মত হওয়ার পর তেলের দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিবিসির প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার ৩১ মে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২৩ ডলারের উঠে গেছে। এটি গেল দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। করোনার লকডাউনের বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে যায়। ক্রমবর্ধমানভাবে জ্বালানির দাম বাড়ায় ইউরোপের ভোক্তা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয় অতি মাত্রায় বেড়ে গেছে। এতে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য করেছে। প্রসঙ্গত ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদার ২৭ শতাংশ তেল এবং ৪০ শতাংশ গ্যাস রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। এর বিনিময়ে ইইউ রাশিয়াকে বছরে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করে। ইইউ নেতাদের এ সিদ্ধান্তের ফলে ইইউ অঞ্চলের সমুদ্রপথে রুশ তেল পরিবহনের ওপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। উল্লেখ্য রুশ তেলের দুই-তৃতীয়াংশই সমুদ্রপথে আসে। এদিকে পোল্যান্ড ও জার্মানি এ বছরের শেষ নাগাদ পাইপলাইনে তেল আমদানি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে ইউরোপে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ ৯০ শতাংশ কমে যাবে। এ সিদ্ধান্তটি ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনে অনুমোদিত নিষেধাজ্ঞার ষষ্ঠ প্যাকেজের অংশ যা সমস্ত ২৭ সদস্য রাষ্ট্রকে একমত হতে হয়েছিল। অপরদিকে ইইউতে এখন অবধি রাশিয়ার গ্যাস রফতানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তবে রাশিয়া থেকে জার্মানিতে একটি নতুন গ্যাস পাইপলাইন খোলার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। ইইউ সদস্যরা রাশিয়ান তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাদের মতপার্থক্য নিরসনে কয়েক ঘণ্টা লড়াই করেছেন। হাঙ্গেরি পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ৬৫ শতাংশ তেল আমদানি করে থাকে। দেশটি নতুন এ নিষেধাজ্ঞায় বাধা দেয়ার অনেক চেষ্ঠা করেছে কিন্তু কোনো কাজে আসেনি।