মে মাসে তুরস্কের মূল্যস্ফীতি ৭৩.৫ শতাংশে উন্নীত
তুরস্কের মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। মে মাসে দেশটিতে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এমন মূল্যস্ফীতির কারণ হিসেবে ইউক্রেনে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানির উচ্চ দাম এবং ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা লিরার অবমূল্যায়নকে দায়ী করা হচ্ছে। গত মাসে তুরস্কের মূল্যস্ফীতির হার ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। যদিও এ হার অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কার তুলনায় কিছুটা কম। গত বছরের শেষ দিক থেকেই দেশটিতে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে মূল্যস্ফীতি। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানটি ২০০২ সালে স্পর্শ করা ৭৩ দশমিক ২ শতাংশকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং ১৯৯৮ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। সে সময় বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। অর্থনীতিবিদরা এ হার ৭৬ দশমিক ৫৫ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। গতকাল টার্কিশ স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, মে মাসে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
গত মাসে এক বছর আগের তুলনায় পরিবহন ও খাদ্যের দাম যথাক্রমে ১০৮ ও ৯২ শতাংশ বেড়েছে। মৌলিক পণ্য পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তুর্কিদের। এ পরিসংখ্যান দেশটির গভীর অর্থনৈতিক সংকটকেও প্রতিফলিত করছে। মাসভিত্তিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদক মূল্যসূচক ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে এক বছর আগের তুলনায় এ সূচক বাড়ার হার ১৩২ দশমিক ১৬ শতাংশ। ২০২১ সালে ডলারের বিপরীতে লিরার দাম ৪৪ শতাংশ এবং চলতি বছর ২০ শতাংশ কমেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2019230283.jpg[/IMG]