ট্রেজারি বিল-বন্ডের পরীক্ষামূলক লেনদেন শুরু
সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডের পরীক্ষামূলক লেনদেন শুরু হয়েছে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকালে পুঁজিবাজারে লেনেদেন শুরুর সময় সরকারি ২৫০টি ট্রেজারি বিল ও বন্ডের পরীক্ষামূলক লেনদেনের সুযোগ উন্মুক্ত হয়। তবে প্রথম ঘণ্টায় কোনো ইউনিট কেনাবেচা হয়নি। ট্রেজারি বিল ও বন্ডের লেনদেনের তথ্য আলাদাভাবে দেখাতে ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইটে আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে। দীর্ঘ দিনের আলোচনার পর ট্রেজারি বিল ও বন্ডের পরীক্ষামূলক লেনদেন শুরু হলেও পূর্ণাঙ্গ লেনদেন কবে শুরু হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পায়নি ব্রোকারেজ হাউসগুলো।
গত ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের অনুষ্ঠানে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ট্রেজারি বিল ও বন্ডের পরীক্ষামূলক লেনদেনের ঘোষণা দেন। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে জানায়, এমআই মডিউলের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে সরকারি সিকিউরিটিজ (ট্রেজারি বিল ও ট্রেজারি বন্ড) পরীক্ষামূলক লেনদেন শুরু হবে ১০ অক্টোবর। ট্রেজারি বিল ও ট্রেজারি বন্ডে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীকে কেনাবেচার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় খরচ মেটাতে সরকার বিভিন্ন সময় দেশের নাগরিক বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নেয়। এর বিপরীতে তাদের নামে ট্রেজারি বিল ও বন্ড ইস্যু করা হয়। একে সরকারি সিকিউরিটিজও বলা হয়। তিন মাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর জন্য নেওয়া ঋণকে ট্রেজারি বিল ও এক বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত নেওয়া ঋণকে ট্রেজারি বন্ড বলা হয়।
বর্তমানে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে সুদহার সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। প্রতি ছয় মাস অন্তর মুনাফা তুলে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সঞ্চয়পত্র কেনায় সীমা থাকলেও বন্ড ও বিল কেনার ক্ষেত্রে কোনো সীমা নেই। ট্রেজারি বিল ও বন্ড কিনতে যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকে বিজনেস পার্টিসিপেন্ট আইডি (বিপি আইডি) খুলতে হয়। আর পুঁজিবাজারে লেনদেন হয় বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবের মাধ্যমে। ট্রেজারি বিল ও বন্ডের লেনদেন শুরু হওয়ায় ডিএসইর বাজার মূলধনে আরও ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা যোগ হচ্ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2095072866.jpg[/IMG]