কানাডার বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের মন্দার আশঙ্কা

কানাডার ব্যবসায়িক কার্যক্রম ধীর হয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে মূল্যস্ফীতির চাপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ অবস্থায় দেশটির বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান মন্দার আশঙ্কা করছে। সম্প্রতি প্রকাশিত দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, কানাডার ৭৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান মনে করছে আগামী দুই বছর পণ্যমূল্য ৩ শতাংশের বেশি থাকবে। পৃথক একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, স্বল্পমেয়াদে ভোক্তা মূল্যস্ফীতির শঙ্কা রেকর্ড পর্যায়ে থাকবে। যদিও দীর্ঘমেয়াদি মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশটির সিআইবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ অ্যান্ড্রু গ্রান্টথাম বলেন, উচ্চমূল্যস্ফীতির আশঙ্কা ব্যাংক অব কানাডাকে সুদের হার বৃদ্ধির পথে ধাবিত করবে। এদিকে ডেসজার্ডিনস গ্রুপের ম্যাক্রো স্ট্র্যাটেজির প্রধান রয়েস মেন্ডেস বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোর নীতিতে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের আত্মবিশ্বাস নিম্নমুখী হয়েছে। এ কারণে দেশটির শ্রমিকরা পণ্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে মজুরি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
তবে এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করছেন কানাডার অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়ালে দেশে মন্দার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাবে। এরই মধ্যে কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত মার্চ থেকে তাদের পলিসি রেট ৩০০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে। আগামী বুধবার আরো অর্ধেক পয়েন্ট বৃদ্ধি করে সুদের হার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা হতে পারে। এছাড়া আগামী বছর সুদের হার ৪ দশমিক ২৫ থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। আগস্টে কানাডার মূল্যস্ফীতি কিছুটা ধীর হয়ে ৭ শতাংশে নেমেছিল। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির চাপ আরো কিছুটা ধীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি রয়টার্সের এক জরিপে সেপ্টেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। যদিও এ হার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রার অনেক ওপরে রয়ে গিয়েছে।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের জরিপে দেখা গিয়েছে, সামগ্রিকভাবে দেশটির ব্যবসায় ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রয়েছে। পণ্যমূল্য ও মজুরিতে চাপ কমারও আশা করা হচ্ছে। তবে এ সময়ে শ্রম ও সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা অব্যাহত রয়েছে। সমীক্ষার তথ্যে বলা হয়, উচ্চ সুদের হার বিক্রয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করছে আবাসন খাতের কার্যক্রমে যুক্ত সংস্থাগুলো। অন্য খাতের সঙ্গে জড়িতরাও এখন বিক্রি ধীর হওয়ার কথা জানিয়েছে। যদিও এখনো বিক্রির পরিমাণ ইতিবাচক রয়ে গিয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1966458877.jpg[/IMG]