ফেসবুক প্রতিষ্ঠানের ১১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করবে মেটা।

বিশ্বজুড়ে রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্টি হচ্ছে অর্থনৈতিক মন্দার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ইনকরপোরেশন ১১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) থেকেই এই ছাঁটাই শুরু হয়েছে। মেটা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার ১১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
[ATTACH=CONFIG]18536[/ATTACH]
বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মীর ১৩ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের ১৬ সপ্তাহের মূল বেতন দিয়ে দেওয়া হবে। বিশ্বজুড়ে মেটার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। মূলত ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্য নিয়েই বিশ্বজুড়ে কর্মী কমাতে চাইছে মেটা। সাম্প্রতিক সময়ে মেটা’র আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। সেই সঙ্গে টিকটক অ্যাপলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা বেড়েছে মেটার। প্রতিযোগিতার এই দৌড়ে কিছুটা পিছিয়েও পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তার ওপরে আছে বর্তমানের ধীর গতির বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। এতেও ক্ষতি হচ্ছে মেটা’র। ফলে ব্যয় কমানো ছাড়া উপায় নেই তার। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা গত অক্টোবরে একটি বাণিজ্যিক পূর্বাভাস তৈরি করে। তাতে দেখা গেছে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে মেটা’র খরচ বেড়েই চলেছে। তবে খরচ বাড়লেও ব্যবসা আশানুরূপ হচ্ছে না। বর্তমান অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে আগামী বছরের মধ্যে মেটা’র স্টক মার্কেটে থাকা মূল্য থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার হাওয়া হয়ে যেতে পারে। আবার চলতি বছরই মেটা স্টক মার্কেটে প্রায় অর্ধেক ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানির খরচ কমানো ছাড়া অন্য কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না মেটা। গত জুনেই অবশ্য ফেসবুকে প্রকৌশলী নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছিল। ওই সময় কর্মীদের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দাভাব সম্পর্কেও সতর্ক করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সম্ভাব্য ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণের বিষয়টি কর্মীদের জানিয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ে মেটা’র অধীনে থাকা ইনস্টাগ্রাম ও হোয়্যাটসঅ্যাপে নতুন কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন মেটা’র প্রধান নির্বাহী বলেছিলেন চলতি বছরের তুলনায় আগামী বছর প্রতিষ্ঠানের মোট কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে।