২০৩৫ সাল থেকে জীবাশ্ম জ্বালানির গাড়ি বিক্রি নিষিদ্ধ

২০৫০ সাল নাগাদ যানবাহন থেকে কার্বন নিঃসরণ ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত গাড়ির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ ধারাবাহিকতায় গত বছরের অক্টোবরে ২০৩৫ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির গাড়ি বিক্রি নিষিদ্ধের চুক্তি করে সংগঠনটি। তবে চুক্তিটি কার্যকরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা ছিল। মঙ্গলবার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ২০৩৫ সালের মধ্যে গ্যাস ও ডিজেলচালিত গাড়ি বিক্রি নিষিদ্ধ ও জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত গাড়ির বিপরীতে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের গতি বৃদ্ধির জন্য আইন অনুমোদন করে। নতুন আইনটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইইউর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে গাড়ি নির্মাতাদের অবশ্যই নতুন গাড়িতে শতভাগ কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমাতে হবে। যার মানে ইইউর ২৭টি দেশে নতুন জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত যানবাহন বিক্রি করা যাবে না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1893709905.jpg[/IMG]
জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত গাড়ি নিষিদ্ধের পক্ষে ৩৪০টি ও বিপক্ষে ২৭৯টি ভোট পড়ে। ভোট প্রদানে বিরত ছিলেন ২১ জন। ২০৩০ সাল থেকে নতুন যে গাড়ি ও যানবাহনগুলো বিক্রি করা হবে, তাতে যথাক্রমে ৫০-৫৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। এর আগে ২০৩০ সালে বিক্রি করা হবে, এমন নতুন গাড়ির কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত বছরের অক্টোবরে ইইউর সদস্য দেশ, ইউরোপীয় সংসদ ও ইউরোপীয় কমিশনের আলোচকরা মিলে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত নতুন গাড়ি বিক্রি বন্ধে চুক্তিতে পৌঁছান। সেখানে ২০৩৫ সালের পরে ২৭ দেশের জোটটিতে গ্যাসোলিন ও ডিজেলচালিত নতুন গাড়ি এবং ভ্যান বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়।