পর্যটক বাড়াতে রাস আল খাইমাহর নানা পরিকল্পনা

[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1149256750.png[/IMG]
মহামারীর সংকট কাটিয়ে গোটা বিশ্বের পর্যটন খাত চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। খাতটির পুনরুদ্ধারে নতুন পরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রাও ঠিক করছে দেশগুলো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন আমিরাত বা অঞ্চলগুলোও দেশী-বিদেশী পর্যটকের প্রবাহ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। দেশটির সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল পর্যটন অঞ্চলের নাম রাস আল খাইমাহ। চলতি বছর ২০২২ সালের চেয়ে বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটাতে চায় কর্তৃপক্ষ। এ অঞ্চলের সঙ্গে নতুন নতুন স্থানের সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। খবর ন্যাশনাল নিউজ।
রাস আল খাইমাহ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (আরএকেটিডিএ) প্রধান নির্বাহী রাকি ফিলিপস বলেন, ‘২০২২ সালে যে পরিমাণ পর্যটক এসেছিল তা দেখে আমরা বিস্মিত। এ সংখ্যা মহামারীর আগের সময়কেও প্রায় ছাড়িয়ে গেছে। তবে গত বছরের সে সংখ্যাকে আমরা চলতি বছর ছাড়িয়ে যেতে চাই। সে লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে।’ রাস আল খাইমাহ প্রাকৃতিক ও টেকসই পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। এরই মধ্যে মহামারীর লোকসান বেশ শক্তিশালীভাবে কাটিয়ে উঠেছে। গত বছর ১১ লাখ ৩০ হাজার দর্শনার্থী রাস আল খাইমাহ ভ্রমণ করেছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এ অঞ্চলে পর্যটক প্রবেশ বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এর মধ্যে বিদেশী পর্যটক বেড়েছে ৪০ শতাংশ। বিশেষ করে কাজাখস্তান, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, চেক রিপাবলিক ও জার্মানি থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছে এ সময়ে।
চলতি বছর পর্যটন খাতে ভারতীয় ও চীনা দর্শনার্থীদের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইউএই পর্যটনের প্রধান পাঁচ উৎস বাজারের একটি হতে চীনের কয়েক বছর লেগে যাবে। এক্ষেত্রে ভারতের সম্ভাবনাও বেশ। ইউএই ৭০:৩০ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। এ পরিকল্পনার আওতায় তিন-চার বছরে দেশটির ৭০ শতাংশ পর্যটক হবে বিদেশী এবং বাকি ৩০ শতাংশ দেশী।