ভারতের অর্থনীতি বদলে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বদলে দিচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। পরিবর্তন আসছে কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক কর্মপ্রক্রিয়ায়। এর মধ্যে প্রযুক্তি খাতে যথেষ্ট শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে দেশটি। আগামী দিনগুলোয় এআই হতে পারে দেশীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বেঙ্গালুরুভিত্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান জ্ঞানী ডট এআই। নির্বাহী প্রধান গণেশ গোপালান জানান, *আগামী বছরগুলোয় ভারতের অর্থনীতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থাকবে তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থানে। ভারতের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে। ব্যাংকিং থেকে স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি থেকে কারখানা-কর্মদক্ষতা বাড়াতে মানুষের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। টিম লিজ ডিজিটালের দেয়া তথ্যানুসারে, ২০২৫ সাল নাগাদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ৫০ হাজার কোটি ডলার যুক্ত করবে ভারতের দেশীয় আয়ে। ২০৩৫ সালে সংখ্যাটি দাঁড়াবে ৯৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। কভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। গ্রাহকদের মধ্যে বেড়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভ পণ্যের চাহিদা।
এখন পর্যন্ত দেশটিতে পশ্চিমা দেশগুলোয় তৈরি ও বিনিয়োগের প্রযুক্তিই নেতৃত্ব দিচ্ছে। তবে শিগগিরই ভারতীয় সফটওয়্যার গতি পাবে। ২০২৫ সালের পর থেকে প্রতি বছর ১৮ শতাংশ করে বাড়বে ভারতে নির্মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ খাতে বিনিয়োগ প্রতি বছরই ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। চলতি বছরের বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৮৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে। তবে এখনো পর্যাপ্ত গবেষণা ও উন্নয়ন প্রয়োজন। প্রয়োজন বিনিয়োগ বৃদ্ধির।
জ্ঞানী ডট এআই ভারতীয় বাজারের সমস্যা সমাধান করেই আত্মপ্রকাশ করে। ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও অন্যান্য এশীয় দেশে। বেঙ্গালুরুভিত্তি প্রতিষ্ঠান সুইচঅন কাজ করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ও উন্নয়নে। সেখানে এআই ব্যবহার হয় নিখুঁত পণ্য থেকে খুঁতযুক্ত পণ্যকে আলাদা করতে। প্রতি সেকেন্ডে ১০টি পণ্য বাছাই করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ উৎপাদন খাতে আগামী দিনগুলোয় আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সেই সঙ্গে পরিবর্তন আনছে কৃষি খাতে। কৃষি ভারতের মোট অর্থনীতির ২০ শতাংশ নিশ্চিত করে। যদিও এখনো প্রচলিত নিয়ম অনুসারেই কৃষি কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, সেখানে অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে হলেও বিস্তার লাভ করছে কৃষিপ্রযুক্তির ধারণা। কৃষিতে এআইয়ের প্রয়োগ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কারনট টেকনোলজির মতো প্রতিষ্ঠান।
ভারতে বেড়ে উঠছে উদ্যোক্তা। প্রযুক্তি খাতে উন্নতি করার যথেষ্ট সুযোগ বিদ্যমান। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে প্রায় অর্ধেকের বয়সই ৩০-এর নিচে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অভিযোজনে তারা গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে পারাটাই হবে আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও অর্থনৈতিক খাতগুলোয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/668493186.png[/IMG]