হাজার কোটি ডলারে আরব-ব্রাজিল বাণিজ্য
চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে আরব বিশ্বে ব্রাজিলের রফতানির পরিমাণ ৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালের একই সময় ব্রাজিলের রফতানির পরিমাণ ছিল ৯৮৩ কোটি ডলার, যা এ বছর ১ হাজার ৬১ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। আরব ব্রাজিলিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (এবিসিসি) বরাত দিয়ে অ্যারাবিয়ান বিজনেস এ তথ্য জানিয়েছে। সৌদি আরবে ব্রাজিলের রফতানি ২০২৩ সালের প্রথম সাত মাসে মোট ১৮৭ কোটি ডলারের বেশি ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এর পরিমাণ ছিল ১৬৪ কোটি ডলারের বেশি। একই সময় কাতারে রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬ কোটি ডলার। কুয়েতেও ব্রাজিলের রফতানির পরিমাণ বাড়ছে। একই সময়ে মিসরে রফতানির পরিমাণ ছিল ১১৫ কোটি ডলার। এবিসিসি রিপোর্টে বলা হয়েছে আরব দেশগুলোয় শীর্ষ রফতানীকৃত পণ্য হচ্ছে মুরগি ও গবাদি পশুর মাংস, আকরিক, শর্করা, খাদ্যশস্য, তেলবীজ ও সয়াবিন, প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম মুক্তা, মূল্যবান ধাতু, গহনা, কফি, চা ও মসলা। এবিসিসির প্রেসিডেন্ট ওসমার কোহফি বলেন, ‘ব্রাজিল ও আরব বিশ্বের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে এবিসিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ইতিবাচক পরিসংখ্যানগুলো উভয় পক্ষের মধ্যে শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত বাণিজ্য সম্পর্ক নির্দেশ করে।’ তিনি মনে করেন, চেম্বার আরবের বিভিন্ন কৌশলগত উদ্যোগ ও নিবেদিত প্রচেষ্টা আরব অঞ্চলে ব্রাজিলের রফতানি বাড়াতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে। আরব দেশগুলোয় ব্রাজিলের রফতানির ধারাবাহিক বৃদ্ধি পারস্পরিকভাবে উপকারী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য উভয় অঞ্চলের অটুট প্রতিশ্রুতিকে আরো জোরদার করে। এ সমৃদ্ধশালী বাণিজ্য সম্পর্ক ব্রাজিলের বিশ্ব বাণিজ্য নেটওয়ার্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আরব বিশ্বের অবস্থানকে শক্তিশালী করে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1487866838.jpg[/IMG]
আরব দেশগুলো থেকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশে আমদানি ২০২৩ সালের প্রথম সাত মাসে ৬১১ কোটি ৪০ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। এবিসিসির প্রতিবেদন অনুসারে, সৌদি আরব থেকে আমদানি হয়েছে এ বছরের প্রথম সাত মাসে ১৯৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার, একই সময় কাতার থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। কুয়েত থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং মিসর থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার ।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানির পরিমাণ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ৭২ কোটি ২১ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। আরব দেশগুলো থেকে অন্য দেশগুলোয় আমদানীকৃত শীর্ষ পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল খনিজ জ্বালানি, সার, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক, অজৈব রাসায়নিক, মূল্যবান ধাতু, লবণ, সালফার, পাথর, জৈব রাসায়নিক, মাছ, ঢালাই লোহা, লোহা ও ইস্পাত।