মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ডলারের আরও দরপতন ঘটাতে পারে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/974097990.jpg[/IMG]
গতকালের উৎপাদক মূল্য সূচক ইতোমধ্যেই এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে কীভাবে ট্রেডাররা প্রতিবেদনের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এবং যদি আজকের মাসিক মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচকে প্রতিবেদনে গত মাসের মত অনুরূপ আরেকটি পরিমিত বৃদ্ধি দেখা যায় তাহলে ডলারের কী হতে পারে সে বিষয়েও স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এটি অবশ্যই চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করবে। শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো দ্বারা আজ প্রকাশিত তথ্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেচগে যে ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং মূল CPI উভয়ই, যা খাদ্য এবং জ্বালানির মূল্য বাদ দিয়ে বিবেচনা করা হয়, এই বছরের জুলাই মাসে 0.2% বেড়েছে। এই ধরনের পরিসংখ্যান 2021 সালের গোড়ার দিকের পর প্রান্তিক ভিত্তিতে মূল মুদ্রাস্ফীতির সবচেয়ে স্বল্পমাত্রার বৃদ্ধি চিহ্নিত করবে। অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন যে মূলত বাড়িভাড়া বৃদ্ধিতে বহুল-প্রত্যাশিত মন্দা, ব্যবহৃত গাড়ির দাম হ্রাস এবং পরিষেবাগুলোর মূল্যছাড়ের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জুলাইয়ের সিপিআই-এর দুর্বল বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। . বাড়িভাড়া অদূর ভবিষ্যতে প্রাক-মহামারী স্তরে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে বাড়িভাড়ায় মন্দার প্রবণতা আগামী মাসগুলোতে অব্যাহত থাকবে, যা ভোক্তা মূল্য সূচকের সামগ্রিক বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। বাড়িভাড়ার খরচ হল এই সূচকের সবচেয়ে বড় শ্রেণী, তাই ভবিষ্যতের প্রবণতা নির্ধারণে এগুলোর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। সূচকে ব্যবহৃত গাড়ির মূল্য হ্রাস জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতি হ্রাসে অবদান রাখতে পারে, যা মূল পণ্যমূল্যের বিস্তৃত মন্দা প্রসারিত করতে সহায়তা করে। শিল্প বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, ব্যবহৃত গাড়ির নিলামের দাম এখন এক বছর আগের তুলনায় 26% কমেছে, যেখানে CPI-এর ক্ষেত্রে গণনাকৃত ব্যবহৃত গাড়ির দাম 18% কমেছে। নতুন গাড়ির দামও কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির ইতিবাচক নিম্নগামী প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, মার্কিন বন্ড মার্কেট আরও উর্ধ্বমুখী পারে, যা মার্কিন ডলারের আরও দরপতনের দিকে পরিচালিত করে। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে জুলাই মাসে উৎপাদক মূল্য সূচক সংক্রান্ত গতকালের প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল। এটি মার্কেটে কিছুটা অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। অনেক ট্রেডার এখন মুদ্রাস্ফীতির দুর্বল পরিসংখ্যানের আশায় ফেডারেল রিজার্ভের আরও দৃঢ় অবস্থানের প্রত্যাশা করছেন, ফলে ফেড এই বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে সুদের হার কমাতে শুরু করতে পারে।