সুদহার ৩ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে ইসিবি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1460433217.jpg[/IMG]
ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি কমে আসায় সুদহার ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি)। ভোক্তা ব্যয় ও বিনিময় কমে আসায় অঞ্চলটির অর্থনীতিতে কিছু শ্লথগতি তৈরি হয়েছে। তাই সুদহার কমানোর পদক্ষেপ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার অংশ বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লেগার্ড জানান, গত বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে জুনে আরেক দফা সুদহার কমানো হয়েছিল। সে সময় অস্ট্রিয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান রবার্ট হোলঝম্যান ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন।
মুদ্রাস্ফীতি কমে আসায় বিশ্বের প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখন সুদহার কমাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) আগামী সপ্তাহে সুদহার কমাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ইসিবি। সেদিকে ইঙ্গিত করে লেগার্ড বলেন, ‘সাম্প্রতিক প্রতিবেদন আমাদের আত্মবিশ্বাস সুদৃঢ় করেছে। আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে আছি।’
ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি গত মাসে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসে, জুলাইয়ে যা ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ। জার্মানি ও ইতালির শিল্পোৎপাদন কমে গেছে। এতে ইউরোজোনের অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে আসার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও বছরের শুরুর দিকে কিছুটা প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল।
ইসিবি জানিয়েছে, ‘শ্রমিকদের মজুরি বাড়লেও মুনাফা বৃদ্ধির কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো এর প্রভাব মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে নতুন করে পণ্যের দাম বাড়েনি। তবে ব্যবসায়ী এবং ভোক্তা, উভয়ের ব্যয় ও বিনিয়োগ স্বাভাবিকের তুলনায় কমেছে। ফলে অর্থনীতির গতি কমেছে।’
এদিকে সুদহার আরো কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন লেগার্ড। তবে অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য ইসিবি বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কিনা, তা নিশ্চিত করেননি তিনি। ইসিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বৈঠকের আগ পর্যন্ত আমাদের হাতে খুব অল্প সময় আছে। চলতি মাসেও মুদ্রাস্ফীতি কমতে পারে। তবে আমরা এককভাবে কোনো সূচকের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’
গত জুনে চলতি প্রান্তিকে দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ইসিবি। তবে সংশোধিত পূর্বাভাসে তা কমিয়ে দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। আগামী কয়েক প্রান্তিকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যেতে পারে উল্লেখ করে ২০২৫ সালের পূর্বাভাসও সামান্য কমিয়ে ১ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে ইসিবি।