পোশাক খাতের বৈদেশিক মুদ্রা ফরেক্স রিজার্ভে কীভাবে সহায়ক?
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস, যা দেশের ফরেক্স রিজার্ভে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পোশাক খাতের বৈদেশিক মুদ্রা ফরেক্স রিজার্ভে সহায়ক হওয়ার কিছু মূল দিক নিচে উল্লেখ করা হলো:
### ১. **বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধি**
- বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০% অংশীদার। এই খাত থেকে অর্জিত ডলার, ইউরো, পাউন্ডের মতো বৈদেশিক মুদ্রা সরাসরি ফরেক্স রিজার্ভে জমা হয়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভকে শক্তিশালী করে।
### ২. **আমদানি ব্যয় পূরণে সহায়তা**
- বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বাড়লে বাংলাদেশ আমদানি খাতে যথাযথভাবে খরচ করতে পারে। যেমন, তেল, কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য যে বৈদেশিক মুদ্রা দরকার হয়, তা পোশাক খাতের অর্জিত মুদ্রা দ্বারা সহজে পূরণ করা যায়।
### ৩. **টাকার মান স্থিতিশীল রাখা**
- পোশাক খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বেড়ে গেলে দেশের ফরেক্স রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ে। এর ফলে ফরেক্স মার্কেটে টাকার চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হয়, যা টাকার মানকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হয়।
### ৪. **বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা**
- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়। পোশাক খাত থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা এই ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্থনৈতিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
### ৫. **অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ**
- বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বৃদ্ধি পেলে দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হয়। এতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে নিরাপদ বিনিয়োগের স্থান হিসেবে বিবেচনা করে, যা দেশের সার্বিক বিনিয়োগ পরিবেশকে উন্নত করে।
এই কারণে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের ফরেক্স রিজার্ভকে সুসংহত করে, যা দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।