যুক্তরাজ্যে চুরি যাওয়া দামি ঘড়ির শীর্ষে রিচার্ড মিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/510003623.jpg[/IMG]
বিশ্বে বহুমূল্যের শৌখিন ঘড়ির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। উল্টোদিকে এসব টাইমপিসের প্রতি বরাবরই শকুনি দৃষ্টি চোরদের। এক প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরে বহুমূল্যের ঘড়ির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে বেশি চুরি হয়েছে রিচার্ড মিল। এর মধ্যে সবচেয়ে দামি মডেল হলো আরএম৭২-০১, যার প্রতিটির মূল্য ৩ লাখ পাউন্ড। এরপর রয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ডের আরএম ০৫৫ টিআই হোয়াইট ব্ল্যাক ডায়াল ও আড়াই লাখ পাউন্ড মূল্যের আরএম ৬৭-০২ কার্বন। চুরির বেশির ভাগই হয়েছে যখন ঘড়ির মালিক হাতে পরেছিলেন। কিছু ঘটনায় সহিংসতা বা হুমকির কথাও শোনা যাচ্ছে। চুরি হওয়া ঘড়ির ডাটাবেজ দ্য ওয়াচ রেজিস্টারের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে ঘড়ি চুরি বেড়েছে। এ বছর চুরি হওয়া ঘড়ির মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি পাউন্ড। দেশটিতে বিশেষত মেফেয়ার ও নাইটসব্রিজের মতো উচ্চবিত্ত এলাকায় এ ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে। বিলাসবহুল ঘড়িকে টার্গেট করার কারণ এগুলো বিরল ও উচ্চ মূল্যের। বিশেষ করে রিচার্ড মিল অনন্য ডিজাইন ও সীমিত উৎপাদনের জন্য পরিচিত। বছরে ৫ হাজার ৩০০টির মতো ঘড়ি তৈরি করে কোম্পানিটি। তাই সংগ্রাহক ও অপরাধীদের কাছে এ টাইমপিস অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বেশি চুরি হওয়ার দামি ঘড়ির মধ্যে আরো রয়েছে পাটেক ফিলিপের ৫১৪০পি ০১৪ ওয়ার্ল্ড টাইম দুবাই এডিশন, এটির মূল্য ১ লাখ ১০ হাজার পাউন্ড। আরো রয়েছে হীরকখচিত ৬৫ হাজার পাউন্ড মূল্যের রোলেক্স ডেটোনা। ব্যবহৃত শৌখিন ঘড়ির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিও চুরির বাড়বাড়ন্তের আরেকটি কারণ। ছোট মোটরসাইকেল মোপেড ব্যবহার করে, এমন গ্যাং ঘড়ি চুরির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও বিশ্বের বড় শহরে বিলাসী ঘড়ি চুরি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। দ্য ওয়াচ রেজিস্টার চুরি হওয়া ঘড়ির সিরিয়াল নম্বর রেকর্ড করে এবং গত এক বছরে ১ কোটি পাউন্ডেরও বেশি মূল্যমানের ঘড়ি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। খবর দ্য ন্যাশনাল ও ছবি রিচার্ড মিল