বৈদেশিক রিজার্ভে ডলারের হিস্যা ২৯ বছরের সর্বনিম্নে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1679415543.jpg[/IMG]
বৈশ্বিক রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে মার্কিন ডলারের হিস্যা প্রায় তিন দশকের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বৈশ্বিক রিজার্ভের ডলারের হিস্যা দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ৫৭ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে, যা ১৯৯৫ সালের পরের সর্বনিম্ন।
জুনে একই প্রবণতার উল্লেখ করে আইএমএফ বলেছিল, বিভিন্ন দেশের আর্থিক বৈচিত্র্যকরণ প্রচেষ্টার কারণে ডলারের পতন ঘটছে। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, বৈশ্বিক রিজার্ভে ডলারের হিস্যা গত তিন প্রান্তিক ক্রমাগত কমেছে, অন্যদিকে ‘অপ্রথাগত’ মুদ্রার মজুদ বাড়ছে। ডলারের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইউরোর অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ইউরোর হিস্যা ছিল ২০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশের তুলনায় কিছু বেশি। এছাড়া সর্বশেষ ছয় প্রান্তিকে জাপানি ইয়েনে বৈশ্বিক বিনিয়োগ বেড়েছে এবং তৃতীয় প্রান্তিকে মোট রিজার্ভে এর হিস্যা ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।
পরিসংখ্যান থেকে আরো দেখা যাচ্ছে, চীনা ইউয়ানের গ্লোবাল ফরেক্স হোল্ডিংসের পতন থেমে গেছে, টানা নয় প্রান্তিক ধরে বৈশ্বিক রিজার্ভে এ পতন দেখা যায়। তৃতীয় প্রান্তিকে ইউয়ানের হিস্যা ছিল ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। অবশ্য পতন অব্যাহত থাকলেও অন্য মুদ্রার তুলনায় বড় ব্যবধানে ডলার এখনো বৈদেশিক রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে প্রাধান্য বজায় রেখেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘদিন বিশ্বের প্রধান মুদ্রা হিসেবে অবস্থান করলে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ডলার। সেখানে মার্কিন ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি ও রাশিয়াসহ প্রতিদ্বন্দ্বীদে ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ওপর ইঙ্গিত করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার জবাবে লেনদেনে ডলারের বিকল্প নিয়ে কাজ করছে রাশিয়া। এ নিয়ে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অবশ্য এরই মধ্যে ডলার অবমূল্যায়নের পদক্ষেপের কড়া জবাব দেবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।