ক্রিপ্টোকারেন্সি ে আগ্রহ বাড়ছে মার্কিন পেনশন ফান্ডগুলোর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1185900929.jpg[/IMG]
মার্কিন সাধারণ নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে উল্লম্ফন ঘটে। কয়েক মাসের ব্যবধানে কোনো কোনো কারেন্সির দাম দ্বিগুণে উন্নীত হয়। এ পরিস্থিতিতে মুনাফা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের পেনশন ফান্ডগুলোও এখন বিটকয়েনে বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করা স্টক মার্কেট ফান্ডের শীর্ষ মালিকদের মধ্যে রয়েছে উইসকনসিন ও মিশিগান রাজ্যের পেনশন স্কিমগুলো। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার কিছু পেনশন ফান্ড ম্যানেজার সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বিনিয়োগ ব্যবস্থাপকদের মাধ্যমে বা ডেরিভেটিভস ব্যবহার করে বিটকয়েনে ছোট আকারের বিনিয়োগ করেছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, গত বছর বিটকয়েনের দাম দ্বিগুণ হয়ে ১ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। ফলে দ্রুত মুনাফা নিশ্চিত করতে রক্ষণশীল তহবিল ব্যবস্থাপকরাও ডিজিটাল কারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
ক্রিপ্টো বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস দিচ্ছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি পৃষ্ঠপোষক ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্ষমতায় আসায় এগুলোর দাম চলতি বছর আবার দ্বিগুণ হতে পারে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের বিটকয়েন সুপারপাওয়ার বানাবেন এবং এ খাতে চলমান বিধিনিষেধের অবসান ঘটাবেন।
পর্যবেক্ষকরা জানান, অধিকাংশ পেনশন ফান্ড গত বছর অনুমোদন পাওয়া মার্কিন এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডের দিকে ঝুঁকছে। এগুলো বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে সরাসরি ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করে এবং বিটকয়েন ও ইথেরিয়ামের মতো টোকেনের মূল্য অনুসরণ করে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে উইসকনসিন ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড ব্ল্যাকরকের বিটকয়েন ইটিএফের ১২তম বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার ছিল। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ফান্ডটির মূল্য চলতি প্রান্তিকের শুরু থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে এখন প্রায় ১৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সমান হয়েছে।