রিপল যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিপ্টোকারেন্সি রিজার্ভে যুক্ত হতে পারে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1111629020.jpg[/IMG]
এশিয়ার ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে আতংক-সৃষ্ট বিক্রির ফলে বড় ধস নেমে আসলেও, ট্রেডাররা দ্রুত সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেশিরভাগ ক্ষতি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বিটকয়েনের মূল্য পুনরায় $103,000 রেঞ্জে ফিরে এসেছে, যেখানে এটি গতকাল দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছিল, অন্যদিকে, ইথেরিয়ামের মূল্য এখনো $3,161-এর ওপরে উঠতে লড়াই করছে। ক্রিপ্টো মার্কেটের অন্যতম প্রধান সংবাদ হলো রিপলের সিইও ব্র্যাড গারলিংহাউসের সাম্প্রতিক বক্তব্য। তিনি জানিয়েছেন যে XRP যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত রিজার্ভ সম্পদ (strategic reserve asset) হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, এই বিষয়ে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে, গারলিংহাউস স্পষ্ট করেননি যে ট্রাম্প এই বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিনা, অথবা এই বৈঠক থেকে বাস্তবিক অর্থে কোনো অগ্রগতি হয়েছে কিনা। গারলিংহাউস জোর দিয়ে বলেছেন যে XRP ভিত্তিক একটি কৌশলগত রিজার্ভ গঠন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন যে এ ধরনের উদ্যোগ ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করার সুযোগ তৈরি করবে এবং লেনদেনের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে, রিপল ডিজিটাল অ্যাসেটকে ভবিষ্যতের আর্থিক ব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে দেখছে। যদিও ট্রাম্পের অবস্থান এখনো অনিশ্চিত, তবে এই বৈঠক ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সমর্থন ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং সরকারি পর্যায়ে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে, এই ধারণাটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং প্রশাসন যদি এই উদ্যোগটি গ্রহণ করে, তাহলে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে, সে সম্পর্কে এখনো অস্পষ্টতা রয়েছে। সব শীর্ষস্থানীয় বিশ্লেষকরা এই ধারণাটিকে সমর্থন করেননি। ভ্যানেক সম্প্রতি জানিয়েছে যে শুধুমাত্র বিটকয়েন (BTC) যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ অ্যাসেট হিসেবে উপযুক্ত, কারণ এটি অন্যান্য ডিজিটাল অ্যাসেটের তুলনায় মৌলিকভাবে আলাদা। ভ্যানেকের বিশ্লেষকদের মতে, বিটকয়েনের বিশেষত্ব হচ্ছে এর সীমিত সরবরাহ (limited supply) এবং বিকেন্দ্রীভূত প্রকৃতি (decentralized nature), যা এটিকে অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ুলর তুলনায় মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে বেশি প্রতিরোধক্ষম করে তোলে। এছাড়াও, বিটকয়েনের মার্কেট ম্যানিপুলেশনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
