আগামী দুই বছরের জন্য প্রধান ১০টি ঝুঁকি
আগামী দুই বছরের জন্য প্রধান ১০টি ঝুঁকি
1. ভুল তথ্য
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1208980631.jpg[/IMG]
প্রযুক্তির উন্নয়ন, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতির ফলে ভুল তথ্য তৈরি এবং প্রচার সহজতর হয়েছে, যা মনগড়া সংবাদ এবং "বিকৃত" কনটেন্ট বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি জনমতকে প্রভাবিত করার এবং সমাজকে অস্থিতিশীল করার ক্ষেত্র তৈরি করছে।
2. বৈরি আবহাওয়া পরিস্থিতি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/645444627.jpg[/IMG]
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব ক্রমবর্ধমানভাবে চরম তাপপ্রবাহ, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে। এসব ঘটনা অর্থনীতি, অবকাঠামো ও জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
3. দেশগুলোর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/731641094.jpg[/IMG]
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ২৩% বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, সশস্ত্র সংঘাত নিকট ভবিষ্যতে বিশ্ব অর্থনীতির সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার বৃদ্ধি জ্বালানি ও পণ্যের দাম বাড়িয়ে তুলতে পারে, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করতে পারে, নিষেধাজ্ঞার মাত্রা বাড়াতে পারে এবং বিনিয়োগ হ্রাস করতে পারে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দা দেখা যেতে পারে।
4. সামাজিক বিভাজন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/989738483.jpg[/IMG]
সমাজ ক্রমশ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। এই বিভাজন সংলাপকে বাধাগ্রস্ত করছে, শত্রুতা বাড়াচ্ছে এবং চরমপন্থী মনোভাবকে উস্কে দিচ্ছে। গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বের ২৮টি প্রধান দেশের মধ্যে ২৪টিতে সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনসাধারণের আস্থার পতন ঘটেছে।
5.
সাইবার অপরাধ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1301689740.jpg[/IMG]
ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাইবার হামলার ঝুঁকিও বাড়ছে। সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি এবং সাইবার যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ব্যাহত করতে পারে এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আইবিএম-এর বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে সাইবার অপরাধের কারণে বৈশ্বিক ক্ষতির পরিমাণ ১০.৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল হুমকিগুলোর মধ্যে একটি।
6. পরিবেশ দূষণ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/41858133.jpg[/IMG]
চলমান পরিবেশ দূষণ জীববৈচিত্র্য এবং মানব স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। প্রতি বছর বায়ু দূষণজনিত রোগে প্রায় ৭ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। মহাসাগরে প্লাস্টিক বর্জ্য সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস করছে এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। ভূমি দূষণও সমানভাবে বিপজ্জনক: জাতিসংঘের মতে, রাসায়নিক বর্জ্য, কীটনাশক এবং অস্থিতিশীল কৃষি কার্যক্রমের কারণে বিশ্বব্যাপী ৩৩% জমি ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
7. বৈষম্য
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/449988530.jpg[/IMG]
ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য সামাজিক অস্থিরতা বাড়াচ্ছে এবং টেকসই উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য মৌলিক পরিষেবার সুযোগ সীমিত করে ও সামগ্রিক অগ্রগতি শ্লথ করে, যা সামাজিক অস্থিরতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
8. জোরপূর্বক অভিবাসন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/66595297.jpg[/IMG]
সংঘাত, অর্থনৈতিক সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা রেকর্ড ১০০ মিলিয়নে পৌঁছেছে। ব্যাপক অভিবাসন স্বাগতিক দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে এবং জাতিগত বিদ্বেষ বাড়িয়ে তুলছে।
9. ভূ-অর্থনৈতিক সংঘাত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/82248278.jpg[/IMG]
দেশগুলোর মধ্যে বর্ধিত অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা, যা বাণিজ্য যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা এবং সুরক্ষামূলক নীতির মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে, বিশ্ব বাজারকে অস্থিতিশীল করছে। এ ধরনের সংঘাত সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করে, পণ্য ও পরিষেবার ব্যয় বাড়ায় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস করে। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ বিশ্ব বাজারে উল্লেখযোগ্য অস্থিরতার কারণ হয়েছে।
10. মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার অবক্ষয়
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1466593474.jpg[/IMG]
বিশ্বের কিছু অঞ্চলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকার এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে দুর্বল করে এবং কর্তৃত্ববাদের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সাংবাদিক, কর্মী ও সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করছে এবং বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।