৪ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্যের প্রথম কোম্পানি এনভিডিয়া
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1113788889.jpg[/IMG]
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৪ ট্রিলিয়ন বা ৪ লাখ কোটি ডলারের বাজারমূল্যের মাইলফলক অতিক্রম করেছে এনভিডিয়া। গত বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৪ ডলার ৪২ সেন্ট, লেনদেন বন্ধের সময় তা নেমে আসে ১৬২ ডলার ৮৮ সেন্টে। চলতি বছর এ পর্যন্ত এনভিডিয়ার শেয়ারদর ১৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারাভিত্তিক কোম্পানিটি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২ ট্রিলিয়ন ও জুনে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য অতিক্রম করেছিল। বাজারমূল্যে এনভিডিয়ার রেকর্ড স্পর্শকে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপ্লব’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভস। তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্ত ক প্রযুক্তির চাহিদা বেড়েছে। এতে এনভিডিয়া ও অন্যান্য টেক জায়ান্টরা ব্যাপক লাভবান হয়েছে। যার প্রভাবে মার্কিন পুঁজিবাজার নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত ৩০ জুন এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৬ হাজার ২০০ পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করে। এ অর্জনে এনভিডিয়ার অবদান ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। গত বুধবার এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ছিল দশমিক ১৯ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে কম-বেশি সব প্রযুক্তি জায়ান্টরা লাভবান হচ্ছে। তবে এনভিডিয়া এদিক থেকে অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। বাজারমূল্যের কোম্পানিটির পেছনে রয়েছে প্রযুক্তি খাতের পথিকুৎ অ্যালফাবেট, অ্যামাজন, অ্যাপল ও মাইক্রোসফট।
উল্লেখ্য যে অ্যামাজন, গুগল ও মাইক্রোসফট সব কোম্পানিই এনভিডিয়ার চিপ ব্যবহার করে ডেটা সেন্টার পরিচালনা করছে। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল প্রশিক্ষণ ও ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবা পরিচালিত হয়।
এআই বাজারে বিনিয়োগ ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল ডোটা করপোরেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্ত ক অবকাঠামো বাজারে ব্যয় ২০২৮ সালের মধ্যে ২০০ বিলিয়ন বা ২০ হাজার কোটি ডলার অতিক্রম করতে পারে।
গত বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) এআই খাতে কম্পিউটিং ও হার্ডওয়্যার অবকাঠামোর জন্য ব্যয় বার্ষিক হারে ৯৭ শতাংশ বেড়েছে।
এনভিডিয়া চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীন শুল্কযুদ্ধের মাঝে আয়ের অংক স্থিতিশীল ছিল বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের।
তবে চীনে মার্কিন রফতানি নিষেধাজ্ঞার কারণে এনভিডিয়াকে ৪৫০ কোটি ডলার ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে। এ সময় কোম্পানিটি আয় করেছিল ৪ হাজার ৪১০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৯ শতাংশ বেশি।