নানজিংয়ের কারখানা বন্ধ করছে ফক্সওয়াগন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1649983699.jpg[/IMG]
পূর্ব চীনের নানজিংয়ে অবস্থিত যৌথ কারখানা বন্ধ করছে জার্মান গাড়ি নির্মাতা ফক্সওয়াগন ও তার স্থানীয় অংশীদার এসএআইসি। এরই মধ্যে কারখানাটিতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে এবং বাকি কার্যক্রম চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারখানা বন্ধের খবর প্রথম জানা যায় গত বছরের শেষ দিকে। খবর ইউরো নিউজ। নানজিংয়ের কারখানা বন্ধ হলেও ফক্সওয়াগন ও এসএআইসির অংশীদারত্বের ইতি ঘটছে না শিগগিরই। জার্মান অটো জায়ান্টটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, গত বছরে কোম্পানি দুটির যৌথ উদ্যোগের সময়সীমা ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
২০০৮ সালে চালু হওয়া নানজিংয়ের কারখানায় বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট। সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় মডেল ফক্সওয়াগন পাসাট ও স্কোডা সুপার্ব এখানেই তৈরি হতো। এখন পাসাটের উৎপাদন ৭০ কিলোমিটার দূরের ইজেং শহরের কারখানায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। নানজিং ও ইজেং একই প্রদেশ জিয়াংসুর অন্তর্গত।
ফক্সওয়াগন-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, শহরের কাছাকাছি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নানজিংয়ের কারখানাটির অবস্থান। এ কারণে উৎপাদন কেন্দ্রটির সম্প্রসারণ বা আধুনিকীকরণ সম্ভব হচ্ছিল না। এখন গাড়ি শিল্প ধীরে ধীরে বিদ্যুচ্চালিত প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে। নানজিংয়ে উৎপাদন ব্যবস্থায় এ ধরনের প্রযুক্তিগত রূপান্তর অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও অকার্যকর। তাই কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত এসেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্ত ফক্সওয়াগনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গত ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি জানিয়েছে, ফক্সওয়াগন গ্রুপ ‘ইন চায়না, ফর চায়না’ নীতির আওতায় ডিজিটালাইজেশনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ২০২৬ সাল থেকে চীনে উৎপাদিত ফক্সওয়াগন ব্র্যান্ডের সম্পূর্ণ বিদ্যুচ্চালিত গাড়িতে ‘চায়না ইলেকট্রনিক আর্কিটেকচার’ (সিইএ) নামের শক্তিশালী জোনাল আর্কিটেকচার ব্যবহার করা হবে। যার মাধ্যমে গাড়ি উৎপাদন আরো সহজ হবে।
মূলত ইভি সম্প্রসারণের পরিকল্পনার সুবিধার্থে ইজেংকে বেছে নিয়েছে ফক্সওয়াগন। নানজিংয়ের বর্তমান কারখানাটি শহর কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
১৯৮৫ সাল থেকে চীনে গাড়ি উৎপাদন করছে ফক্সওয়াগন এবং দেশটির অটো খাতে অন্যতম কোম্পানি হিসেবে এখন প্রতিষ্ঠিত। ২০২৪ সালে চীনে মোট ২৯ লাখ ৩০ লাখ গাড়ি উৎপাদন করেছে ফক্সওয়াগন।