মার্কিন ট্রেজারিতে সৌদি হিস্যা বেড়েছে ২.৩%
মার্কিন ট্রেজারিতে জুনে সৌদি আরবের হিস্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। সৌদি সরকারের তথ্য অনুসারে, মার্কিন ট্রেজারিতে দেশটির বিনিয়োগ মে মাসের ১২ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১৩ হাজার ৬০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ এক মাসে তা ২৯০ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/965851066.jpg[/IMG]
বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি তেল রফতানিকারক সৌদি আরব। দেশটি বড় আকারের বৈদেশিক রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার জন্য মার্কিন ট্রেজারিকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। জ্বালানি তেলের রাজস্ব ওঠানামা ও বৈশ্বিক সুদহারের পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত তহবিল স্বল্প-ঝুঁকিপূর্ণ ও সহজে রূপান্তরযোগ্য সম্পদে রাখতে পছন্দ করে রিয়াদ। এটি দেশটির অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যায়ণের লক্ষ্য ‘ভিশন ২০৩০’-এর একটি অংশ।
মার্কিন ট্রেজারি হোল্ডিংয়ের সৌদি আরবের মোট অংশগ্রহণের ৭৯ শতাংশ দীর্ঘমেয়াদি ও ২১ শতাংশ স্বল্পমেয়াদি বন্ডে বিভক্ত। জুনে হোল্ডিং বাড়লেও তা ছিল গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ কম। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগকারীদের তালিকায় সৌদি আরব ১৭তম অবস্থানে রয়েছে। গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) ও বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবই একমাত্র দেশ, যা শীর্ষ ২০-এর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি হোল্ডিংয়ের দিক থেকে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানে রয়েছে জাপান। দেশটির হিস্যা ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি ডলার। এরপর যথাক্রমে যুক্তরাজ্য ও চীনের অবস্থান। যুক্তরাজ্যের হিস্যা ৮৫ হাজার ৮১০ কোটি ডলার ও চীনের ৭৫ হাজার ৬৪০ কোটি ডলার। এছাড়া এ তালিকায় কেম্যান আইল্যান্ডস, কানাডা, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলোর নাম রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন ট্রেজারি হোল্ডিং ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে সৌদি আরব। কারণ এটি দেশটির অর্থনৈতিক কৌশল ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে তার শক্তিশালী আর্থিক সম্পর্কের প্রতিফলন।