জাহা হাদিদের স্থাপত্যকর্মের মাস্টারপিস
মরফিয়াস টাওয়ার (ম্যাকাও)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/670824634.jpg[/IMG]
এই ভবনটি এটির গড়নের জন্য সবাইকে মুগ্ধ করে। মরফিয়াস হোটেল দুটি 40-তলা বিশিষ্ট টাওয়ার নিয়ে গঠিত, যা দুইটি জায়গা দিয়ে সংযুক্ত রয়েছে: ভূমির কাছাকাছি এবং ছাদের কাছে। এগুলোর মাঝে ফাঁকা জায়গা রয়েছে, আবার কয়েকটি অংশে রেস্তোরাঁ ও বার বসানো হয়েছে। বারোটি কাঁচের এলিভেটর এই ফাঁকা জায়গার ভেতর দিয়ে উপরে-নিচে চলে, যা হোটেলটির সামগ্রিক স্থাপত্যের অনন্য দৃশ্য উপহার দেয়। এই ভবনের নকশা এমন এক অনুভূতি তৈরি করে, যেন ভবনটি ভাসমান রয়েছে।
তাশিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (চীন)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1694763260.jpg[/IMG]
বেইজিংয়ে অবস্থিত বিস্ময়কর তাশিং বিমানবন্দরটি দেখতে অনেকটা ছয়-কোণা বিশিষ্ট এক সামুদ্রিক তারা মাছের মতো। প্রকল্পটির মূল ধারণা হলো দূরবর্তী স্থান ও কেন্দ্রের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন। একই সঙ্গে এই ভবনের ছয়টি শাখা প্রধান হলে মিলিত হয়েছে। ঘরকে একটি অভ্যন্তরীণ আঙিনা ঘিরে তৈরি করার চীনা স্থাপত্য ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জাহা হাদিদ এ বিমানবন্দর তৈরি করেন। ফলে, ছয়টি করিডোর, প্রতিটি 50 মিটার দীর্ঘ, মাটির উপর দিয়ে এক বিশাল সামুদ্রিক তারা মাছের রশ্মির মতো ছড়িয়ে গেছে। বেইজিং বিমানবন্দরের টার্মিনালকে বিশ্বের বৃহত্তম বলে ধরা হয় এবং আয়তনের দিক থেকে এটি কেবল ইস্তানবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরেই অবস্থান করছে।
গ্যালাক্সি সোহো শপিং ও এন্টারটেইনমেন্ট কমপ্লেক্স (চীন)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/325366981.jpg[/IMG]
বেইজিংয়ের আরেকটি স্থাপত্য মাস্টারপিস হলো গ্যালাক্সি সোহো কমপ্লেক্স। এটি পাঁচটি গোলাকার অংশ নিয়ে গঠিত, যেগুলো কখনও একত্রিত হয়, কখনও সামান্য আলাদা থাকে, তবে সবই সেতুর মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। এখানে কোনো ধারালো কোণ বা আকস্মিক পরিবর্তন নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবনটির নকশা অনেকটা প্রাকৃতিক শিলাস্তরের মতো। এর ভেতরের আঙিনাগুলো নকশা করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী চীনা স্থাপত্যকে মাথায় রেখে, যেখানে ঘর ও আশেপাশের অংশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে খোলা উঠান বা আঙ্গিনা বিবেচিত হয়।
কিং আবদুল্লাহ পেট্রোলিয়াম স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, রিয়াদ (সৌদি আরব)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/553447803.jpg[/IMG]
জাহা হাদিদের সৃজনশীল ঐতিহ্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে রিয়াদের গবেষণা কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এক প্রকার "গেম বিল্ডিং," যা আকার ও কল্পনার এক অভিনব পরীক্ষা। ভবনটির ছাঁদের অংশ দেখে কারো কারো কাছে এটি মধুর চাক, কারো কাছে আবার মহাকাশযান কিংবা ক্রিস্টালের মতো দেখতে লাগে। পরিবেশের ওপর ন্যূনতম প্রভাব রেখে ভবনটি নির্মিত হয়েছে। এ কারণে পাঁচটি ব্লক নিয়ে গঠিত সাত হেক্টর এলাকা বিশিষ্ট এই কমপ্লেক্স লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেট অর্জন করেছে।