শেয়ারদর বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেও অন্ধকারে রাখছে প্রতারক কোম্পানি!
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/459304003.jpg[/IMG]
সাম্প্রতিক সময়ে একটি ‘সুনির্দিষ্ট কৌশল’ ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে দেখা গেছে। মাত্র দুই সপ্তাহ থেকে দুই মাসের ব্যবধানে কোন কোন শেয়ারের দর দ্বিগুণ হয়েছে। মূলত এক শ্রেণির সুবিধাভোগী কোম্পানি-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিশে অবৈধ সুবিধা নিতে কৃত্রিমভাবে শেয়ারগুলোর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে সুবিধাভোগীরা ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হলেও ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কেউ কেউ দুই-এক মাসের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন, বিপরীতে কোটি কোটি টাকার লোকসানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাঁধে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের চোখে ধুলো দিয়ে নিয়মিত প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। তথ্য গোপনের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর বাড়িয়ে সুবিধা নিচ্ছে কোম্পানি ও বিশেষ ওই শ্রেণি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকেরাও শেয়ারের দর বাড়িয়ে অধিক মূল্যে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জের দুর্বলতার কারণে তারা কোনো শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছে না।
একই অভিযোগ বাজার-বিশ্লেষকদের কাছ থেকেও শোনা যায়। তারা বলছেন, কিছু কোম্পানি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত াবে এই কাজগুলো করছে। কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে অনেক আগেই জানিয়ে দেন তারা। ওই চক্রটি প্রথমে অল্প দামে শেয়ার কিনে নেয়। পরে কিছু ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়। এতে শেয়ারটির দর হু-হু করে বেড়ে যায়। কৃত্রিম এই দরবৃদ্ধি একটা পর্যায়ে গিয়ে স্থায়ী হয় না। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশের লোকসান হয়। অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানির কর্তাব্যক্তিরাও নিজেদের মালিকানার কিছু অংশ বিক্রি করে সুযোগ নিয়ে নেয়।