আড়াই হাজার কোটি ডলারের রফতানি ঝুঁকিতে ভিয়েতনাম
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1092272606.jpg[/IMG]
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত শুল্কে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভিয়েতনাম। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বিশ্লেষণ অনুসারে, বাড়তি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশটির রফতানি আয় প্রায় এক-পঞ্চমাংশ কমতে পারে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ষষ্ঠ বৃহত্তম রফতানিকারক দেশ ছিল ভিয়েতনাম। ওই সময় দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির আকার ছিল ১৩ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার। এর বেশির ভাগ পণ্যই তৈরি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক ও আন্তর্জাতিক বহুজাতিক কোম্পানি কিংবা তাদের সরবরাহকারীদের কারখানায়। ইউএনডিপির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ স্কেলেকেনস বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রমুখী রফতানি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বেশি কমতে পারে, যা দেশটির বার্ষিক মোট রফতানির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।’
গত ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া ২০ শতাংশ শুল্কের পর ভিয়েতনামের রফতানি কমতে শুরু করেছে। দেশটির কাস্টমস বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি জুলাইয়ের তুলনায় ২ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে জুতার রফতানি কমেছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ভিয়েতনাম বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম জুতা সরবরাহকারী দেশ। শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে অবশ্য রফতানি প্রবাহ বেড়েছিল।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংক ভিয়েতনামের চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস সংশোধন করে কমিয়েছে। ইউএনডিপির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনামের রফতানি কমতে পারে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য গড় পতনের হার ৯ দশমিক ৭ শতাংশ হলেও ভিয়েতনামের ক্ষতি প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে। ফিলিপ স্কেলেকেনস বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো দেশই যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবৃদ্ধিতে ভিয়েতনামের মতো এতটা ঝুঁকির মুখে নেই। পূর্ব এশিয়ার মধ্যে শুধু চীনই বড় ক্ষতির শিকার হবে। কারণ ডলারের হিসাবে চীনের রফতানি ভিয়েতনামের তুলনায় অনেক বেশি। তাই ক্ষতির আকারও বেশি হবে।’
ইউএনডিপির হিসাব অনুযায়ী, রফতানি কমে গেলে ভিয়েতনামের জিডিপি প্রায় ৫ শতাংশ কমতে পারে। তবে এ প্রভাব পুরোপুরি দেখা দিতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপানো শুল্কের কিছু খরচ রফতানিকারকদের বহন করতে হবে। তবে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্য বাজারে রফতানি বৃদ্ধি ও দেশীয় ভোগব্যয়ে ঊর্ধ্বগতি এ ক্ষতি কিছুটা সামাল দিতে সাহায্য করবে।