দ্রুত সুদহার কর্তন ঝুঁকিপূর্ণ হবে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1437226920.jpg[/IMG]
দ্রুত একাধিক দফায় সুদহার কমানোর বিষয়ে সতর্ক করেছেন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) শীর্ষ এক কর্মকর্তা। সাধারণত অতি ধীর কর্মসংস্থান বাজারে গতি ফেরাতে সুদহার কমানো হয়। কিন্তু মার্কিন শ্রমবাজারে মন্দার ইঙ্গিত নেই বলে জানান তিনি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সুদহার কমায় মার্কিন ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (এফওএমসি)। ওই বৈঠকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার কর্তনের পক্ষে ভোট দেন শিকাগো ফেডের প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবি। চলতি বছর আরো দুবার সুদহার কর্তন হতে পারে বলেও জানিয়েছে ফেড। তবে আগামী নীতিনির্ধারণী বৈঠকগুলোয় সুদহারে আরো কাটছাঁট আনার সমর্থন নাও দিতে পারেন অস্টান ওলসবি। তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি সাময়িক ভেবে দ্রুত ধারাবাহিকভাবে সুদহার কমানোর বিষয়টি আমার কাছে স্বস্তিকর নয়।’
সর্বশেষ বৈঠকে ফেড সুদহার ৪ থেকে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশের মধ্যে নির্ধারণ করে। গত ডিসেম্বরের পর এটাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার সুদহার কর্তন। গ্রীষ্ম মৌসুমে দেশটির শ্রমবাজারে তীব্র মন্থরতার তথ্যের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।
সুদহার ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে টানাপড়েন গত কয়েক বছরে মার্কিন অর্থনীতিতে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাঝে বেশির ভাগ বাণিজ্য অংশীদারের ওপর বড় আকারের শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েল আশাবাদী যে ট্রাম্প আরোপিত শুল্ক একবারই ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দামের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। আরো গুরুতর ও স্থায়ী মূল্যস্ফীতির কারণ হবে না।
শিকাগো ফেডের পরিসংখ্যানের উল্লেখ করে অল্টান গুলসবি জানান, কর্মসংস্থান বাড়ায় ধীরতার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও এটি মার্কিন অর্থনীতির তীব্র মন্দার আশঙ্কা তুলে ধরে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শ্রমবাজার এখনো মোটামুটি স্থিতিশীল ও দৃঢ়। ৪ দশমিক ৩ শতাংশের নিম্ন বেকারত্বের হার এবং শ্রমবাজারে কর্মীদের আসা-যাওয়া একটি ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরছে। এটি ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে প্রভাবিত কৃষি ছাড়া অন্যান্য খাতে কর্মসংস্থানের (নন-ফার্ম পেরোল) তথ্যের তুলনায় ভালো।’
তিনি জানান, শুল্কের প্রভাব স্বল্পমেয়াদি হতে পারে। তা সত্ত্বেও ফেডের ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার ওপর মূল্যস্ফীতি চার বছর ছয় মাস ধরে রয়েছে এবং এখনো ভুল পথে যাচ্ছে।
সুদহার কমানোর সিদ্ধান্তে সমর্থনের কারণ হিসেবে অস্টান গুলসবি জানান, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি বাড়ায়নি। এর আংশিক কারণ হলো প্রধান বাণিজ্য অংশীদাররা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হয়নি।
ট্রাম্পের চাপের কারণে ফেডের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রসঙ্গে অস্টান গুলসবি বলেন, ‘আপনি যদি মূল্যস্ফীতির ফিরে আসা ঠেকাতে চান, তাহলে আর্থিক নীতি প্রণয়নে স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’