প্রযুক্তিতে বাড়ছে স্বর্ণের চাহিদা
বিশ্ববাজারে স্বর্ণ এখন অন্যতম আলোচনার বিষয়। ৮ অক্টোবর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ডলার অতিক্রম করেছে। সাধারণত অলংকার, বিনিয়োগ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোয় মূল্যবান এ ধাতুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে আধুনিক প্রযুক্তিতেও স্বর্ণের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। গোল্ড মার্কেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বর্ণের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে ধাতুটি অনেক ইলেকট্রনিক ডিভাইস উৎপাদনে ব্যবহার হয়। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিতে এটি অপরিহার্য। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বর্ণের অন্যতম বড় ব্যবহারকারী ইলেকট্রনিক শিল্প। মূল্যবান ধাতুটি বিদ্যুৎ ভালোভাবে পরিবহন করতে সক্ষম এবং সহজে মরিচা ধরে না। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালে প্রযুক্তি খাতে স্বর্ণের চাহিদা ৭ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৩২৬ টনে পৌঁছেছে। আগামী বছরগুলোয় শক্তিশালী স্মার্টফোন চিপ, সুপার-ফাস্ট ফাইভজি নেটওয়ার্কের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে বাড়বে সোনার গুরুত্বও।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1647035810.jpg[/IMG]
যদিও প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ব্যবহার হওয়া স্বর্ণের পরিমাণ খুবই নগণ্য। যেমন প্রতিটি স্মার্টফোনে প্রায় ৩৪ মিলিগ্রাম ও বিদ্যুচ্চালিত যানে ৩ দশমিক ৫ গ্রাম স্বর্ণ প্রয়োজন হয়। তবে বিশ্বব্যাপী বড় পরিমাণে ডিভাইস তৈরি হওয়ায় মোট চাহিদা অনেক বেশি।
লেখক ও প্রযুক্তি বিশ্লেষক জেমস ওয়াটসন বলেন, ‘২০২৫ সাল ও তার পরবর্তী সময়ে ইন্টারনেট অব থিংস এবং আরো সংযুক্ত ডিভাইস প্রচলনের সঙ্গে স্বর্ণের চাহিদা প্রযুক্তি খাতে বাড়তেই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সোনাকে সবসময়ই একটি “*নিরাপদ” বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়। যখন অর্থনীতি বা প্রযুক্তির মতো বিশেষ খাতে অস্থিরতা দেখা দেয়, তখন মানুষ প্রায়ই সম্পদ রক্ষার জন্য স্বর্ণে বিনিয়োগ করে।’