রূপকথার মতো সাতটি নয়নাভিরাম গ্রাম

যদি কখনও স্বপ্ন দেখে থাকেন যে আপনি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবেন এবং এমন কোথাও পৌঁছে যাবেন যেখানে সময় ধীর গতিতে প্রবাহিত হয়, তাহলে ফোর্বসের সর্বশেষ তালিকা একবার দেখে নিন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর গ্রামের তালিকা।

বিবুরি (ইংল্যান্ড)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1965012876.jpg[/IMG]
বিবুরি হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের গ্লুচেস্টারশায়া� �ের একটি ছোট গ্রাম। গ্রামটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো হল আর্লিংটন রো, কোলন নদীর ধারে বিস্তৃত মনোরম রাস্তা, যেখানে ১৪ শতকের পাথরের কটেজগুলো নিখুঁতভাবে সংরক্ষিত রয়েছে এবং শ্যাওলা দিয়ে ঢাকা ছাদ রয়েছে। মূলত তাঁতিদের থাকার জন্য নির্মিত, এই বাড়িগুলো এখন যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা স্থানগুলোর মধ্যে একটি। গ্রামটির কাছাকাছি বিবুরি ট্রাউট ফার্ম অবস্থিত - যা ইংল্যান্ডের প্রাচীনতম ট্রাউট ফার্ম - এবং এখানে আপনি মধ্যযুগীয় সেন্ট মেরি'স চার্চ দেখতে পাবেন, যা দাগযুক্ত কাচের জানালা এবং নরম্যান-যুগের সমাধিস্তম্ভ দিয়ে সজ্জিত।

হলস্ট্যাট (অস্ট্রিয়া)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/759471493.jpg[/IMG]
হলস্ট্যাট হচ্ছে অস্ট্রিয়ার আল্পাইন গ্রাম, যা সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এবং লেক হলস্ট্যাটার সি-এর শান্ত পানির মাঝখানে অবস্থিত। এখানকার খাড়া ছাদের ঘরগুলি পাহাড়ের ঢাল থেকে উঠে এসেছে বলে মনে হয়, অন্যদিকে সরু আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলো একটি কেন্দ্রীয় বর্গক্ষেত্রে নিয়ে যায় যেখানে একটি গথিক গির্জা এবং রাজহাঁসে ভরা হ্রদ রয়েছে। ৩০০ মিটারেরও বেশি উঁচু হলস্ট্যাট স্কাইওয়াকে ডাচস্টাইন আল্পসের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। কাছাকাছি গুহাগুলোতে সালজওয়েল্টেন অবস্থিত, যা বিশ্বের প্রাচীনতম লবণ খনি, যা প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে চালু রয়েছে।


রেইন (নরওয়ে)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/443679083.jpg[/IMG]
রেইন হল নরওয়ের লোফোটেন দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট মাছ ধরার গ্রাম, যা খাড়া পাহাড়ের চূড়ার নিচে অবস্থিত এবং ঠান্ডা ফজর্ড জলরাশি দ্বারা বেষ্টিত। উজ্জ্বল লাল রংয়ের জেলেদের কেবিন (ররবুয়ার) উপকূলরেখা বরাবর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যেখানে সেগুলোর প্রতিচ্ছবি স্থির উপসাগরে ঝিকিমিকি করছে। এখানে গভীর আর্কটিক সাগরের নীরবতা বিরাজ করে, যেখানে শুধুমাত্র মাছ ধরার জালের খসখসে শব্দ এবং পানিতে দাঁড়ের শব্দ শোনা যায়। পর্যটকরা প্রায়শই এখানকার ভূ-প্রকৃতির বিস্তীর্ণ দৃশ্য দেখার জন্য রেইনব্রিনজেন পর্বতমালায় হাইকিং করেন এবং গ্রীষ্মে, গ্রামটি পাহাড় এবং সামুদ্রিক পাখিদের মধ্যে কায়াকিং করার জন্য উপযুক্ত।

গিথোর্ন (নেদারল্যান্ডস)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1542727909.jpg[/IMG]
গিথোর্ন হল উত্তর নেদারল্যান্ডসের একটি গ্রাম, যেটি "ডাচ ভেনিস" নামে ডাকা হয়, কারণ রাস্তার বদলে সরু খাল দ্বারা এই গ্রামটিতে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এখানে কোনো গাড়ি নেই কারণ স্থানীয় জনগণ এবং দর্শনার্থীরা নৌকা বা সাইকেল চালিয়ে খিলানযুক্ত সেতু ধরে ভ্রমণ করেন যেখানে সুন্দরভাবে সাজানো খড়ের ছাদের কুটিরগুলোর সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায়। গ্রামটি ফুলে ফুলে উপচে পড়ে এবং শান্ত জলরাশির দৃশ্য পোস্টকার্ডের জন্য তৈরি বলে মনে হয়। পর্যটকরা এখানকার গ্রামীণ জীবন এবং পিট আহরণ প্রদর্শনকারী একটি জাদুঘর পরিদর্শন করতে পারেন, পাশাপাশি ইউরোপের বৃহত্তম জলাভূমিগুলোর মধ্যে একটি ডি উইরিবেন-উইডেন জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখতে পারেন।

গাসাদালুর (ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/849131305.jpg[/IMG]
গাসাদালুর হল ভাগার দ্বীপের একটি ছোট্ট গ্রাম, যা ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের অংশ এবং এটি খাড়া পাহাড় ও সবুজ উপত্যকার মাঝখানে অবস্থিত। দ্বীপটির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট আরনাফজালের পাদদেশে ঘাসের ছাদযুক্ত ঘরগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এখানকার প্রধান প্রাকৃতিক আকর্ষণ হল মুলাফোসুর জলপ্রপাত, যা পাহাড় থেকে সরাসরি আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়। ২০০৪ সাল পর্যন্ত, এই গ্রামে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় ছিল পাহাড়ি পথ, পরবর্তীতে পাথরের মধ্য দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ খোদাই করা হয়েছিল।

ওইয়া (গ্রীস)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/95708829.jpg[/IMG]
ওইয়া হল সান্তোরিনির উত্তর প্রান্তে অবস্থিত একটি ছবির মতো নিখুঁত গ্রাম, যা আগ্নেয়গিরির ক্যালডেরার ঢাল বরাবর গড়ে উঠেছে। সাদা রঙের ঘরবাড়ি, নীল গম্বুজযুক্ত গির্জা এবং এজিয়ান সাগরের অন্তহীন দৃশ্য সহ এই জায়গাটি পর্যটকদের স্বপ্নের মতো আকর্ষণ করে। দিনের বেলায়, পর্যটকরা আর্ট গ্যালারি এবং কারিগরদের দোকানে ভরা সরু রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেড়ান। সন্ধ্যা নাগাদ, তারা সূর্যাস্তের অসাধারণ দৃশ্য দেখার জন্য ভেনিসিয়ান দুর্গের ধ্বংসাবশেষে জড়ো হন।

বোরটাঞ্জ (নেদারল্যান্ডস)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1192877320.jpg[/IMG]
বোরটাঞ্জ নেদারল্যান্ডসের উত্তরে অবস্থিত একটি অনন্য তারকা আকৃতির দুর্গ গ্রাম। স্প্যানিশদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত এই গ্রামটিতে এখনও দুর্গ, পরিখা এবং গেটগুলো নিখুঁতভাবে সংরক্ষিত আছে। ভিতরে, দর্শনার্থীরা পাথরের রাস্তা, পুনরুদ্ধার করা ব্যারাক, দুর্গ জাদুঘর এবং স্থানীয় কারুশিল্পের একটি বাজার ঘুরে দেখতে পারেন। পর্যটকরা কেন্দ্রীয় চত্বরের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দোকানগুলোতে ঐতিহ্যবাহী ডাচ খাবারের স্বাদ নিতে পারেন।