মার্কিন বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান কমেছে ৩২ হাজার
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/120600803.jpg[/IMG]
যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতে গত মাসে কর্মসংস্থান কমেছে ৩২ হাজার। ওই সময় কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল ছোট কোম্পানিগুলো। অর্থনীতির সক্ষমতা নিরূপণে গুরুত্বপূর্ণ একটি সূচক হলো বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান প্রতিবেদন। নভেম্বরে এ পরিসংখ্যানে পতন দেশটিতে আগামী সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদহার কমানোর সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। ব্লুমবার্গের এক জরিপে অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দেন, নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতে ১০ হাজার চাকরি বাড়বে। কিন্তু দেশটির বেতন ব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান এডিপির প্রতিবেদন এর বিপরীত তথ্য তুলে ধরেছে। এছাড়া সংস্থাটি চাকরির তথ্য সংশোধন করে ৪৭ হাজারে উন্নীত করেছে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মার্কিন বেসরকারি খাতে বিপরীত অবস্থানে রয়েছে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি।
চাকরি হ্রাসের এ তথ্যে সবচেয়ে বেশি হিস্যা ৫০ জনের কম কর্মীসংবলিত ছোট কোম্পানিগুলোর। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো গত মাসে ১ লাখ ২০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। ফেডের সুদহার কমানোর পক্ষে এ তথ্য যুক্তি হিসেবে কাজ করবে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের। আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফেডারেল মার্কেট ওপেন কমিটির (এফএমওসি) বৈঠক। সেখান থেকে চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এডিপির প্রধান অর্থনীতিবিদ নেলা রিচার্ডসন বলেন, ‘শ্রমবাজার এখন দুর্বল নয়। তবে দুর্বল হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে সবার আগে ভেঙে পড়ছে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো।’
তিনি জানান, পরিস্থিতি বদলাতে পারে, কিন্তু জাতীয়ভাবে যা ঘটছে তার প্রথম সংকেত ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোই দেয়। এখন তারা দুর্বলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গত মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড ৪৩ দিনের ফেডারেল শাটডাউন পালিত হয়। এ অচলাবস্থায় দেশটির অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ স্থগিত থাকে। ওই সময় বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে এডিপির প্রতিবেদন।
এদিকে মার্কিন ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিস্টিকসের (বিএলএস) নভেম্বরের কর্মসংস্থান ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এর অর্থ হলো ৯-১০ ডিসেম্বর সুদহার বিষয়ে ফেডের বৈঠক করার পর প্রকাশ হবে প্রতিবেদনটি।
এফওএমসির সদস্যরা সুদহার কমানোর গতি ও মাত্রা নিয়ে বিভক্ত। অপেক্ষাকৃত শিথিল অবস্থানে থাকা সদস্যরা শ্রমবাজারকে সহায়তা দিতে আরো দ্রুত পদক্ষেপ চান। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত নতুন শুল্কের কারণে মূল্যস্ফীতিতে কী প্রভাব পড়ে, তা পর্যালোচনার পক্ষে রয়েছেন কঠোর অবস্থান নেয়া ফেড সদস্যরা।
নর্থলাইট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ক্রিস জাকারেলি বলেন, ‘এডিপির প্রতিবেদন নিশ্চিত করছে এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো দুর্বল হতে থাকা শ্রমবাজার, মূল্যস্ফীতির দুশ্চিন্তা নয়।’
জেপি মরগানের বিশ্লেষক আবিয়েল রেইনহার্ট বলেন, ‘বৈঠকের আগে ফেডকে চাকরি প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাখবে প্রতিবেদনটি।’